মধ্য রাত, ঘুমিয়ে গেছে চারিপাশের
কোলাহল থেমে গেছে ও নিস্তব্ধ
হয়ে গেছে পুরো শহর। মাঝে
মাঝে দুই একটা গাড়ির শব্দে আর নিয়ন
আলোয় যেন এখনও জীবিত আছে
শহর । এ যেন নির্বাক মনের অনেক
কথা বলতে চেয়েও পারছে না আর,
জমে আছে শত বেদনা ও ক্ষোভ ।
চিলেকোঠায় বাস নির্বাক বালকের ।
ঢাকাতে একাই এই কারনে চিলেকোঠার
ছোট একটি রুমে থাকা হয়, অনিদ্রায় তাই
ছাদে কাটে সারা রাত । আজি শহরের
নিস্তব্ধতায় আছন্ন দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা
সাথে আকাশের একটু বেশি সৌন্দর্য
যেন আজ সেজেছে আপন রুপে।
সাদা মেঘের গুচ্ছ গুলো ছুটে
বেড়াচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্য
প্রান্তে, এই অন্ধকার আকাশের নীল
বয়ে বেড়াচ্ছে তার আপন মহিমায় ।
নীল এর সাথে মেঘের সাদা যে
পূর্ণ এক ছবি, কোন ক্যানভাসে আঁকা
ছবি নয়, এটা তো আজ রাতের আকাশ ।
আকাশের রঙ টা হঠাৎ করেই ভরিয়ে
দিয়ে গেলো নির্বাক বালকের মন,
আপন মনে তাই তো গান গাওয়া
আকাশের মেঘ গুলোও যেন কি
বলতে চাচ্ছে, নির্বাক দৃষ্টিতে
তাইতো তাকিয়ে থাকা । অনেকটা সময়
পাড় হলো এখন মনে হয় বুজতে
পাড়ছে সে আকাশের মেঘ গুলো
যেন তাঁকে মনে করিয়ে দিচ্ছে
পুরনো সকল সৃতি, মনে করিয়ে
দিচ্ছে স্বপ্ন কন্যার কথা, যার জন্য,
যাকে পাবার আশায় এখনও একা নির্বাক
বালক
.
“একাকী গান গাওয়া
একাকী মনের কথা বলা
একাকী পথ চলা
একাকীত্বের ভাবনায় কম্পমান স্বপ্ন
তাই একা কি স্বপ্ন দেখা
সাদাকালো স্বপ্ন একাই রঙিন করা
একাকী জীবনে একাকীত্বের
মাজে
জীবনের অন্বেষণ করা”।
জীবনের অন্বেষণে এইতো
আজ এত দূরে একা, একাকী গান গাওয়া ।
তবে এই একাকীত্ব কাদায় না তাঁকে,
কেননা এই একাকীত্ব নতুন কিছু নয়
নির্বাক বালকের জীবনে,অনেক
আগেই স্বপ্ন কন্যা কে স্বপ্ন
দেখেছিল সে, তবে না এখনও সেই
স্বপ্নতেই তার বাস বাস্তবে আশেনি
আজো । আর কি আসবে এই স্বপ্ন
হয়ে আমার জীবনে সত্যি ? হে বিধাতা
চেয়েছিলাম আমি তোমার কাছে
একাকীত্ব থেকে মুক্তি।
জীবনের কঠিন বাস্তবতায় বারে বারে
চেয়ে স্বপ্ন কন্যার দর্শন হয়ে
উঠেনি এখনও তাঁকে দেখা হয়নি তার
কাছা কাছি যাওয়া শুধুই অন্যতে তার ছায়া
খুজে ফেরা, হুম ফলাফল ও তাই একই
রকম,
শূন্যতাতেই ফিরে আসা।
নিজের অজানাতেই যেন আজ সব
হচ্ছে। রাতের আকাশ দেখা,
অবচেতন মনে গান গাওয়া, পুরানো সৃতি
মনে করা, আর শুধুই স্বপ্ন কন্যার কথা
ভাবা। যেদিন জন্মেছিল এই ধরাতে
সেইদিন এই লিখা হয়েছিল তার
জন্মপঞ্জীতে হবে তুমি সেরা
কোন এক জগৎ-এ আপন যোগ্যতায় ।
জীবনের এই প্রান্তে এসে ব্যাপারটা
যেন বুজতে আর একটুও বাকি নেই,
একাকীত্বের জগতে একা, একক
মহিমায় উদ্ভাসিত মহান একজন প্রতিকৃত। হা
হা হা হা হাসি যেন আর থামছে না এই
ভেবে যে, জগৎ সেরা মহান
হয়েছে আজ তবে তা নিরবতা ও
একাকীত্বের । লম্বা নিঃশ্বাস ছেড়ে
আবার ভাবতে শুরু করে নির্বাক বালক।
কেন যেন আজ সৃতির দরজায় করা
নারতে ইচ্ছা করছে, তার আপন মনে
বলছে “কেন বারে বারে পুরনো
সৃতি এসে কড়া নাড়ে মনের জানালায়,
কেন মন বারে বারে পিছনে ফিরে
যায়, তোমাদের কেন মন আজ আবার
কাছে চায়, জানি তোমরা আজ শুধুই ছবি
হয়ে আছো, কিন্তু যারা আছে তারা
কেন আজ এত দূরে, কেন কাছে
চেয়েও দেখা পাই না, মন তো মানে
না কিছুতেই, তোমাদের ডাক যে
আজও শুনতে পাই কানে, কবে হবে
দেখা!
কখনোই কি পাবো না তোমার
দেখা
তবে কি এই ছিল বিধির লিখা
হৃদয়ে জমানো যত আশা সবই
মিলে কি কারো কখনোই
কে হবে সেই পাখী
উড়বে ডানা মেলে নাম ধরে ডাকি ।
কিশোর বয়সে ও নির্বাক বালক নির্বাক,
চাঞ্চল্য কখনও তাঁকে ছুতেঁ পারেনি
তাই সদা সর্বদা চাঞ্চল্যতে আকৃষ্ট
সে, তেমনি একজনকে দেখে
থেমে যায় তার সব বলা, নির্বাক যেন
আরও নিরবতার গভীরে চলে যায় ।
“শুধুই চেয়ে থাকি তোমার পাণে
তোমায় শুধু চায় মন কি তা জানে
অপলক তোমার চাওয়া
হতে পারতো ভালোবাসার ছোঁয়া
পেয়েছে মন ভয় অজানায়
ভালোলাগাতেই ভালোবাসা
না বলাতেই মন মানা”
অনেক দিন তাকিয়ে থাকার পরও হয়নি
সাহস বলতে মনের কথা, রয়ে
গেলো মনের কথা মনেই, হয়ে
রইলো না বলা ব্যথা। কেটে যায় মাস,
মাসে মাসে বছর, মৌনতা ভেঙ্গে হয়নি
যেন তাঁকে বলা ছোট ওই কথা।
জীবনের প্রয়োজনে স্বপ্ন কন্যা
থেকে নির্বাক আনেক দূরে তখন
অনাখাঙ্খিত ভাবেই জানতে পারলো ওই
অপলক চেয়ে থাকা ছিল নির্বাক
বালকের প্রতি ভালোলাগার, মনে
মনে গড়েছিল নতুন আশার বসবাস।
নির্বাক বালক ছিল তার স্বপ্ন পুরুষ কিন্তু
নির্বাক বালক এর নীরবতা, কম কথা বলাই
শেষ করে দিয়েছে একটি সুন্দর
স্বপ্নকে । হয়নি মিলন ভালোবাসার
সাথে, একাকীত্তের পথ হয়েছে
সুগম তাই হাটা সেই পুরানো পথে।
মেঘেদের সরে সরে যাওয়াতে
ফাকা আকাশ, চাদের আলো ভেঙ্গে
দিল স্বপ্ন কন্যার ভাবনাকে। ছাদের
এপাশ ওপাশ পায়চারী করে বেড়াচ্ছে
নির্বাক বালক, তার মনের বিষণ্ণতা তাঁকে
কাঁদাচ্ছে, তার ওই চোখের পাণে
তাকিয়ে দেখা হয়নি সেইখানে জল
জমেছিল কিনা। আবারো পায়চারী,
আকাশে উজ্জ্বল তাঁরাটি ঠিক মাথার
উপরে তাঁকে ডাকছে নিকট
অতীতে, করা নেরে যাচ্ছে তার
শহুরে প্রথম জীবনের নতুন করে
দেখা স্বপ্নতে। এবারেও চাঞ্চল্য
দেখে স্বপ্ন কন্যা ভেবে ভুল করা।
পাবার আকুলতায় পাগল নির্বাক বালক নতুন
করে স্বপ্ন দেখে, নিজের মনের
সকল জায়গা মন, প্রান সপে দিতে চায়
তার নতুন করে পাওয়া স্বপ্ন কন্যাকে।
এই মনটাকে ধুলা মাখা পথ করেছি তুমি
হাঁটবে বলে, বেলি ফুলের গন্ধে
মিশিয়ে দিয়েছি তমি ভালবাসবে বলে।
বৃষ্টির বর্ষণ হবো, তোমায় ছুয়ে
যাবো তাই, বিকালের মিষ্টি রোদ
হবো তোমার ওই মিষ্টি হাসির সাথে
খেলা করবো বলে, মৃত্যু দূত কে
ফিরিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে চাই শুধু
একবার ভালোবাসি শুনবো বলে। নানান
নামে ডাকছিল একে অপরকে,
ভালোবাসার অপার জগতে যেন ভাসছিল
দুজন, নির্বাক বালক তার ভালোবাসা যেন
উজাড় করে দিতে ব্যস্ত।
“ইচ্ছে করে তন, মন, ধ্যান, জ্ঞান
দেই তোমার চরণে সপে
ভয় হয় যদি তুমি না লও গ্রহন করে
পারবোনা এই ফিরে আসার জ্বালা
সইতে
তাইতো তন মন সপেও চাইনা
কইতে”।
ভালোবাসি শুনতে অনেক সময়
লেগেছে তার, ভুল ভেঙ্গে গিয়ে
নির্বাক বুজেছে ভুল হয়েছে আবার,
তার স্বপ্ন কন্যা যে আস্তার জন্য
বাস্তবতাকে বেছে নিয়ে চলে
গেছে বহু দূরে। খুজে নিয়েছে
তার আপন জায়গা। সে তো স্বপ্ন
কন্যার স্বপ্ন পুরুষ!
কিভাবে সহে এই যাতনা, শেষ হয়ে
গেছে সকল বাসনা, নেই কোন
স্বপ্ন, কোন আশা আর ভালোবাসা, এ
যে ছিল শুধুই ছলনা। আবারো তাই সেই
পুরানো পথে হাটা, একাকীত্বের
পথে,পুরানো পথে তাই আবার নতুন
করে চলা। “আশা ভঙ্গ নির্বাক!”
ভেঙ্গে গেছে আরও একটি স্বপ্ন,
হারানো আরেকবার না পাওয়ার বিষণ্ণতায়।
আজ তাই বড় একা নিরব নিস্তব্ধ ঘুমন্ত
শহরের ন্যায়, একা নিরব মৌন ব্রত পালন
কারি পাহাড়ের ন্যায়। তাইতো আবার হাটা
সেই পুরানো পথে।
“একাকী পথ চলা শিখে নিয়েছি
তুমি আসবে না জেনে পাশাপাশি চলার
স্বপ্ন কে ভুলিয়ে দিয়েছি
শূন্যতাকে সাথী করে
দিগন্তহীন পথে চলেছি
তোমাকে সাথে নিয়ে যাব বলে
দিগন্তে রঙধনু রাঙিয়ে রেখেছি
রঙিন স্বপ্ন পড়েছে ধূসর মেঘে
ডাকা
রঙ চরিয়ে রঙিন নয় স্বপ্ন
তাই সাধা কালো ক্যানভাসে আকা”।
এইখানেই থামতে চায় নির্বাক বালক,
জীবনের না পাওয়া যন্ত্রণা আর চায়না
সে সরণ করতে। এর পরে ঘটে
যাওয়া নিষ্ঠুর সত্যকে নিয়ে বন্ধুদের
কাছে নিয়ে একাকীত্বের পথে
আবার ফিরে আসতে। আর স্বপ্ন কন্যা
তো তার স্বপ্নতেই বসবাস করে।
হয়তো মিলবে না কোন দিনও তার
দেখা, ভয় শুধু এখন স্বপ্ন দেখতে।
কোন দিন হয়তো একাকীত্বের
পথে পেও যেতে পারে সেই
স্বপ্ন কন্যা কে হয়তো বা কখনোই
না।
“ স্বপ্নের স্বপ্নিল জগতে স্বপ্ন
হীন
রাত ঘুম কাটে স্বপ্ন বিহীন
বিবর্ণ হয়ে আশে স্বপ্ন সাদাকালো
ঘেরা
স্বপ্ন ভাঙ্গার ভয়ে তাই দিবা স্বপ্ন
দেখা। “
যদি হারায়ে যাই খুজে পাবে না
তোমাদের ওই চেনা পথে । যে
পথে সবাই হারিয়ে যায় হয়তো এমন
পথ বেছে নেবো যে পথে
কেও হাটে না । হেঁটে যাব হারিয়ে
যাবো খুজে পাবার চেষ্টায় ক্লান্ত
বিশ্রাম প্রয়োজন নাই, জেনে নিও তাই
যে হারায় সে পাওয়ার জন্য হারায় না ।
হারানর জন্যই হারায় ।
কোলাহল থেমে গেছে ও নিস্তব্ধ
হয়ে গেছে পুরো শহর। মাঝে
মাঝে দুই একটা গাড়ির শব্দে আর নিয়ন
আলোয় যেন এখনও জীবিত আছে
শহর । এ যেন নির্বাক মনের অনেক
কথা বলতে চেয়েও পারছে না আর,
জমে আছে শত বেদনা ও ক্ষোভ ।
চিলেকোঠায় বাস নির্বাক বালকের ।
ঢাকাতে একাই এই কারনে চিলেকোঠার
ছোট একটি রুমে থাকা হয়, অনিদ্রায় তাই
ছাদে কাটে সারা রাত । আজি শহরের
নিস্তব্ধতায় আছন্ন দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা
সাথে আকাশের একটু বেশি সৌন্দর্য
যেন আজ সেজেছে আপন রুপে।
সাদা মেঘের গুচ্ছ গুলো ছুটে
বেড়াচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্য
প্রান্তে, এই অন্ধকার আকাশের নীল
বয়ে বেড়াচ্ছে তার আপন মহিমায় ।
নীল এর সাথে মেঘের সাদা যে
পূর্ণ এক ছবি, কোন ক্যানভাসে আঁকা
ছবি নয়, এটা তো আজ রাতের আকাশ ।
আকাশের রঙ টা হঠাৎ করেই ভরিয়ে
দিয়ে গেলো নির্বাক বালকের মন,
আপন মনে তাই তো গান গাওয়া
আকাশের মেঘ গুলোও যেন কি
বলতে চাচ্ছে, নির্বাক দৃষ্টিতে
তাইতো তাকিয়ে থাকা । অনেকটা সময়
পাড় হলো এখন মনে হয় বুজতে
পাড়ছে সে আকাশের মেঘ গুলো
যেন তাঁকে মনে করিয়ে দিচ্ছে
পুরনো সকল সৃতি, মনে করিয়ে
দিচ্ছে স্বপ্ন কন্যার কথা, যার জন্য,
যাকে পাবার আশায় এখনও একা নির্বাক
বালক
.
“একাকী গান গাওয়া
একাকী মনের কথা বলা
একাকী পথ চলা
একাকীত্বের ভাবনায় কম্পমান স্বপ্ন
তাই একা কি স্বপ্ন দেখা
সাদাকালো স্বপ্ন একাই রঙিন করা
একাকী জীবনে একাকীত্বের
মাজে
জীবনের অন্বেষণ করা”।
জীবনের অন্বেষণে এইতো
আজ এত দূরে একা, একাকী গান গাওয়া ।
তবে এই একাকীত্ব কাদায় না তাঁকে,
কেননা এই একাকীত্ব নতুন কিছু নয়
নির্বাক বালকের জীবনে,অনেক
আগেই স্বপ্ন কন্যা কে স্বপ্ন
দেখেছিল সে, তবে না এখনও সেই
স্বপ্নতেই তার বাস বাস্তবে আশেনি
আজো । আর কি আসবে এই স্বপ্ন
হয়ে আমার জীবনে সত্যি ? হে বিধাতা
চেয়েছিলাম আমি তোমার কাছে
একাকীত্ব থেকে মুক্তি।
জীবনের কঠিন বাস্তবতায় বারে বারে
চেয়ে স্বপ্ন কন্যার দর্শন হয়ে
উঠেনি এখনও তাঁকে দেখা হয়নি তার
কাছা কাছি যাওয়া শুধুই অন্যতে তার ছায়া
খুজে ফেরা, হুম ফলাফল ও তাই একই
রকম,
শূন্যতাতেই ফিরে আসা।
নিজের অজানাতেই যেন আজ সব
হচ্ছে। রাতের আকাশ দেখা,
অবচেতন মনে গান গাওয়া, পুরানো সৃতি
মনে করা, আর শুধুই স্বপ্ন কন্যার কথা
ভাবা। যেদিন জন্মেছিল এই ধরাতে
সেইদিন এই লিখা হয়েছিল তার
জন্মপঞ্জীতে হবে তুমি সেরা
কোন এক জগৎ-এ আপন যোগ্যতায় ।
জীবনের এই প্রান্তে এসে ব্যাপারটা
যেন বুজতে আর একটুও বাকি নেই,
একাকীত্বের জগতে একা, একক
মহিমায় উদ্ভাসিত মহান একজন প্রতিকৃত। হা
হা হা হা হাসি যেন আর থামছে না এই
ভেবে যে, জগৎ সেরা মহান
হয়েছে আজ তবে তা নিরবতা ও
একাকীত্বের । লম্বা নিঃশ্বাস ছেড়ে
আবার ভাবতে শুরু করে নির্বাক বালক।
কেন যেন আজ সৃতির দরজায় করা
নারতে ইচ্ছা করছে, তার আপন মনে
বলছে “কেন বারে বারে পুরনো
সৃতি এসে কড়া নাড়ে মনের জানালায়,
কেন মন বারে বারে পিছনে ফিরে
যায়, তোমাদের কেন মন আজ আবার
কাছে চায়, জানি তোমরা আজ শুধুই ছবি
হয়ে আছো, কিন্তু যারা আছে তারা
কেন আজ এত দূরে, কেন কাছে
চেয়েও দেখা পাই না, মন তো মানে
না কিছুতেই, তোমাদের ডাক যে
আজও শুনতে পাই কানে, কবে হবে
দেখা!
কখনোই কি পাবো না তোমার
দেখা
তবে কি এই ছিল বিধির লিখা
হৃদয়ে জমানো যত আশা সবই
মিলে কি কারো কখনোই
কে হবে সেই পাখী
উড়বে ডানা মেলে নাম ধরে ডাকি ।
কিশোর বয়সে ও নির্বাক বালক নির্বাক,
চাঞ্চল্য কখনও তাঁকে ছুতেঁ পারেনি
তাই সদা সর্বদা চাঞ্চল্যতে আকৃষ্ট
সে, তেমনি একজনকে দেখে
থেমে যায় তার সব বলা, নির্বাক যেন
আরও নিরবতার গভীরে চলে যায় ।
“শুধুই চেয়ে থাকি তোমার পাণে
তোমায় শুধু চায় মন কি তা জানে
অপলক তোমার চাওয়া
হতে পারতো ভালোবাসার ছোঁয়া
পেয়েছে মন ভয় অজানায়
ভালোলাগাতেই ভালোবাসা
না বলাতেই মন মানা”
অনেক দিন তাকিয়ে থাকার পরও হয়নি
সাহস বলতে মনের কথা, রয়ে
গেলো মনের কথা মনেই, হয়ে
রইলো না বলা ব্যথা। কেটে যায় মাস,
মাসে মাসে বছর, মৌনতা ভেঙ্গে হয়নি
যেন তাঁকে বলা ছোট ওই কথা।
জীবনের প্রয়োজনে স্বপ্ন কন্যা
থেকে নির্বাক আনেক দূরে তখন
অনাখাঙ্খিত ভাবেই জানতে পারলো ওই
অপলক চেয়ে থাকা ছিল নির্বাক
বালকের প্রতি ভালোলাগার, মনে
মনে গড়েছিল নতুন আশার বসবাস।
নির্বাক বালক ছিল তার স্বপ্ন পুরুষ কিন্তু
নির্বাক বালক এর নীরবতা, কম কথা বলাই
শেষ করে দিয়েছে একটি সুন্দর
স্বপ্নকে । হয়নি মিলন ভালোবাসার
সাথে, একাকীত্তের পথ হয়েছে
সুগম তাই হাটা সেই পুরানো পথে।
মেঘেদের সরে সরে যাওয়াতে
ফাকা আকাশ, চাদের আলো ভেঙ্গে
দিল স্বপ্ন কন্যার ভাবনাকে। ছাদের
এপাশ ওপাশ পায়চারী করে বেড়াচ্ছে
নির্বাক বালক, তার মনের বিষণ্ণতা তাঁকে
কাঁদাচ্ছে, তার ওই চোখের পাণে
তাকিয়ে দেখা হয়নি সেইখানে জল
জমেছিল কিনা। আবারো পায়চারী,
আকাশে উজ্জ্বল তাঁরাটি ঠিক মাথার
উপরে তাঁকে ডাকছে নিকট
অতীতে, করা নেরে যাচ্ছে তার
শহুরে প্রথম জীবনের নতুন করে
দেখা স্বপ্নতে। এবারেও চাঞ্চল্য
দেখে স্বপ্ন কন্যা ভেবে ভুল করা।
পাবার আকুলতায় পাগল নির্বাক বালক নতুন
করে স্বপ্ন দেখে, নিজের মনের
সকল জায়গা মন, প্রান সপে দিতে চায়
তার নতুন করে পাওয়া স্বপ্ন কন্যাকে।
এই মনটাকে ধুলা মাখা পথ করেছি তুমি
হাঁটবে বলে, বেলি ফুলের গন্ধে
মিশিয়ে দিয়েছি তমি ভালবাসবে বলে।
বৃষ্টির বর্ষণ হবো, তোমায় ছুয়ে
যাবো তাই, বিকালের মিষ্টি রোদ
হবো তোমার ওই মিষ্টি হাসির সাথে
খেলা করবো বলে, মৃত্যু দূত কে
ফিরিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে চাই শুধু
একবার ভালোবাসি শুনবো বলে। নানান
নামে ডাকছিল একে অপরকে,
ভালোবাসার অপার জগতে যেন ভাসছিল
দুজন, নির্বাক বালক তার ভালোবাসা যেন
উজাড় করে দিতে ব্যস্ত।
“ইচ্ছে করে তন, মন, ধ্যান, জ্ঞান
দেই তোমার চরণে সপে
ভয় হয় যদি তুমি না লও গ্রহন করে
পারবোনা এই ফিরে আসার জ্বালা
সইতে
তাইতো তন মন সপেও চাইনা
কইতে”।
ভালোবাসি শুনতে অনেক সময়
লেগেছে তার, ভুল ভেঙ্গে গিয়ে
নির্বাক বুজেছে ভুল হয়েছে আবার,
তার স্বপ্ন কন্যা যে আস্তার জন্য
বাস্তবতাকে বেছে নিয়ে চলে
গেছে বহু দূরে। খুজে নিয়েছে
তার আপন জায়গা। সে তো স্বপ্ন
কন্যার স্বপ্ন পুরুষ!
কিভাবে সহে এই যাতনা, শেষ হয়ে
গেছে সকল বাসনা, নেই কোন
স্বপ্ন, কোন আশা আর ভালোবাসা, এ
যে ছিল শুধুই ছলনা। আবারো তাই সেই
পুরানো পথে হাটা, একাকীত্বের
পথে,পুরানো পথে তাই আবার নতুন
করে চলা। “আশা ভঙ্গ নির্বাক!”
ভেঙ্গে গেছে আরও একটি স্বপ্ন,
হারানো আরেকবার না পাওয়ার বিষণ্ণতায়।
আজ তাই বড় একা নিরব নিস্তব্ধ ঘুমন্ত
শহরের ন্যায়, একা নিরব মৌন ব্রত পালন
কারি পাহাড়ের ন্যায়। তাইতো আবার হাটা
সেই পুরানো পথে।
“একাকী পথ চলা শিখে নিয়েছি
তুমি আসবে না জেনে পাশাপাশি চলার
স্বপ্ন কে ভুলিয়ে দিয়েছি
শূন্যতাকে সাথী করে
দিগন্তহীন পথে চলেছি
তোমাকে সাথে নিয়ে যাব বলে
দিগন্তে রঙধনু রাঙিয়ে রেখেছি
রঙিন স্বপ্ন পড়েছে ধূসর মেঘে
ডাকা
রঙ চরিয়ে রঙিন নয় স্বপ্ন
তাই সাধা কালো ক্যানভাসে আকা”।
এইখানেই থামতে চায় নির্বাক বালক,
জীবনের না পাওয়া যন্ত্রণা আর চায়না
সে সরণ করতে। এর পরে ঘটে
যাওয়া নিষ্ঠুর সত্যকে নিয়ে বন্ধুদের
কাছে নিয়ে একাকীত্বের পথে
আবার ফিরে আসতে। আর স্বপ্ন কন্যা
তো তার স্বপ্নতেই বসবাস করে।
হয়তো মিলবে না কোন দিনও তার
দেখা, ভয় শুধু এখন স্বপ্ন দেখতে।
কোন দিন হয়তো একাকীত্বের
পথে পেও যেতে পারে সেই
স্বপ্ন কন্যা কে হয়তো বা কখনোই
না।
“ স্বপ্নের স্বপ্নিল জগতে স্বপ্ন
হীন
রাত ঘুম কাটে স্বপ্ন বিহীন
বিবর্ণ হয়ে আশে স্বপ্ন সাদাকালো
ঘেরা
স্বপ্ন ভাঙ্গার ভয়ে তাই দিবা স্বপ্ন
দেখা। “
যদি হারায়ে যাই খুজে পাবে না
তোমাদের ওই চেনা পথে । যে
পথে সবাই হারিয়ে যায় হয়তো এমন
পথ বেছে নেবো যে পথে
কেও হাটে না । হেঁটে যাব হারিয়ে
যাবো খুজে পাবার চেষ্টায় ক্লান্ত
বিশ্রাম প্রয়োজন নাই, জেনে নিও তাই
যে হারায় সে পাওয়ার জন্য হারায় না ।
হারানর জন্যই হারায় ।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment