Translate

মুসলমানদের বলা হয় সন্ত্রাসী। কিন্তু আসলেই সন্ত্রাসী কারা?

Sunday, May 8, 2016


নিচে কুখ্যাত খুনি ও কয়েকটা সন্ত্রাসী হামলার উদাহরন দেয়া হলো:
১)৫ জুন ১৯৮৪, ইন্ডিয়ান সিকিউরিটি ফোর্স শিখদের স্বর্ণমন্দির পুড়িয়ে দেয়। এতে ১০০ জন মারা যায়।
২)IRA ক্যাথলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ১৯৭০ এর দশক থেকে এ পর্যন্ত অনেকগুলো সন্ত্রাসী হামলা করে।
কিন্তু তাদেরকে সন্ত্রাসী বলতে ইহুদী মিডিয়া নারাজ।
ক)১৯৭২ সালে IRA তিনটি বোমা হামলা চালায়। প্রথমটায় ৭, ২য় টায় ১১ ও ৩য় টায় ৯ জন মারা যায়।
খ)১৯৭৪ সালে IRA দুটি বোমা হামলা করে। প্রথমটি হয় Guildford Pub এ, ৫ জন নিহত ও ৪৪ জন আহত। ২য় টি হয় Birmingham Pub এ, ২১ জন নিহত ও ১৮২ জন আহত।
গ)১৯৯৬ সালে IRA লন্ডনে বোমা হামলা চালায়। এতে ২ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়। একই বছরে ম্যানচেস্টার শপিং সেন্টারে তারা বোমা হামলা করে। এতে ২০৬ জন মারা যায়।
ঘ)১ আগস্ট ১৯৯৮, Banbridge বোমা হামলা। IRA ৫০০ পাউন্ড এর গাড়িতে ফিট করে। ৩৫ জন আহত হয়।
ঙ)১৫ আগস্ট ১৯৯৮, Omagh বোমা হামলা। IRA ৫০০ পাউন্ড এর গাড়িতে ফিট করে। ২৯ জন মারা যায় এবং ৩৩০ জন আহত হয়।
চ) ৪ মার্চ ২০০১, IRA বিবিসি তে বোম্বিং করে।
ছ)IRA কে কখনও ক্যাথোলিক সন্ত্রাসী বলা হয়না। আজ UK সরকার মুসলিম সন্ত্রাসী নিয়ে বেশী ভীত। কিন্তু IRA সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা করেছে UK তে।
৩)এডলফ হিটলার, সবচেয়ে বেশী মানুষ হত্যাকারী। ৬ লক্ষ ইহুদিকে সে গ্যাস চেম্বারে হত্যা করেছে। সে ছিল খ্রিস্টান।
৪)জোসেফ স্টালিন ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে। তারমধ্যে ১৪.৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যাভাবে মারা গেছে।
৫)মাও সেতুং চিনে ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে। সে ছিল নাস্তিক।
৬)মুসোলিনি ইতালিতে ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে।
৭)অশোকা কলিংগ ১ লাখ মানুষ হত্যা করেছে। সে ছিল হিন্দু।
৮)মায়ানমারের বৈদ্ধরা মুসলিমদের উপর গনহত্যা চালাচ্ছে, তারপরও তারা সন্ত্রাসী হয় না।
৯)জর্জ পি. মেটেস্কি নামক এক খ্রিস্টান সে ১৬ বছর ধরে নিজ হাতের তৈরী বোমাদিয়ে আমেরিকায় অনেক লোককে হত্যা করেছে। তারা ঐ লোক কে সন্ত্রাসী না বলে “ম্যাড বোম্বার” নাম দিয়েছে। অথচ মুসলমান হলে ভয়ংকর সন্ত্রাসী বলে নাম দিতো।
১০)অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রেইভিক: যে একজন উগ্র খ্রীস্টান সন্ত্রাসী ।২২ জুলাই ২০১১ সালে এক সন্ত্রাসী হামলায় ৭৭ জনকে হত্যা এবং ২৪২ জনকে আহত করেছে। তার সন্ত্রাসী হামলার উদ্দেশ্য ছিলো ইউরোপে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান হার বিষয়ে খ্রীস্টানদেরকে সচেতন করা। অথচ তাকে ইহুদী মদদপুষ্ট কোন মিডিয়াই সন্ত্রাস বলতে রাজি নয়।
এরকম হাজারো উদাহরন রয়েছে।
বিগত কয়েক দশক থেকেই সারা পৃথিবীতে মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে মিডিয়াতে আখ্যাদেয়া হয়। শুধু তাই নয় জঙ্গী,জিহাদী এ দুটি শব্দকে সন্ত্রাসী শব্দের সাথে সমর্থক শব্দে রূপ দেয়ার অপচেষ্টা করে আসছে ইহুদী মদদপুষ্ট মিডিয়া।
এর পেছনে অনেক কারন, আর অন্যতম মূল কারন হলো ক্রমবর্ধমান মুসলমানদের নতুন প্রজম্মের কাছে যেন কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা বা প্রতিবাদ করা যেন সন্ত্রাসীকর্ম বলে মনে হয়।
বর্তমানে কোথাও কোন হামলা হলেই তা মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য ইহুদীরা তাদের এই চাপিয়ে দেয়াটাকে জায়েজ প্রমান করার জন্য কিছু ভাড়াটে গোষ্ঠিও তৈরী করে। এদের মধ্যে IS, Al Qaeda, Boko Haram,Ansarullah ইত্যাদি গোষ্ঠি অন্যতম।
কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য , বিগত কয়েক শতকে সারাপৃথিবীর বড় ছোট যত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, তার কোনটাই মুসলমানগণ করেনি। করেছে ইহুদীরা, অথবা খ্রীস্টানরা,অথবা হিন্দুরা অথবা নাস্তিকরা।
অথচ তাদের কোনভাবেই সন্ত্রাসী বলা হয় না।
এখন আপনারাই ভাবুন সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী কারা?
পাঠক! আপনারাই বলুন এরকম সন্ত্রাসী হামলা করেও যদি সন্ত্রাস না হয়, তাহলে আসল সন্ত্রাসী কে?
প্রকৃতপক্ষে, ইহুদী, খ্রীস্টান, বৌদ্ধ এরা সকলেই সন্ত্রাসী।
অর্থাৎ, মুসলমান ব্যতীত যারা রয়েছে, এর প্রায় সকলেই সন্ত্রাসী।
কোন মুসলমান সন্ত্রাসী হতে পারে না। আর কোন সন্ত্রাসীই মুসলমান নয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment