Translate

তাওবায় গুণাহ মাফ হয়

Friday, May 18, 2018

0 মন্তব্য(গুলি)
ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা তাওবা। তাওবা মানুষের ¯্রষ্টা, বিশ^জগতের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতায়ালার পক্ষ থেকে তাঁরই শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি ও প্রতিনিধি মানুষের জন্য অফুরন্ত এক নেয়ামত, করুণা ও ভালোবাসা। পাপ ও শাপমোচনের, মুক্তির অনন্য সুযোগের নাম তাওবা। মুসলিম সমাজে তাওবা ব্যাপক পরিচিত বিষয় হলেও তাওবা কেন অপরিহার্য, কী এর গুরুত্ব ও কিভাবে তাওবা করতে হয় সে সম্পর্কে সবার স্পষ্ট ও সঠিক ধারণা নেই। তাওবা শব্দের আক্ষরিক অর্থ ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা।
পারিভাষিক অর্থে তাওবা হলো ইসলাম নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে ইসলাম নির্দেশিত কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ফিরে আসা ও আল্লাহর বিধানের ওপর অটল এবং অবিচল থাকা। মুসলিম ও অমুসলিম সবাইকে ইসলাম তাওবা করার আদেশ দিয়েছেন ও আহ্বান করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর কাছে তাওবা করো; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সূরা আননূর,আয়াত-৩১)। আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করো খাঁটি তাওবা।’ (সূরা আততাহরিম, আয়াত-০৮)। মুহাম্মাদ সা: বলেন, ‘ইয়া আইয়্যুহান নাসু তুবু ইলাল্লাহি’ অর্থাৎ হে মানব সব! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করো- আল্লাহর নিকট ফিরে আসো, প্রত্যাবর্তন করো। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৩৪)।
সুতরাং মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে আল্লাহর বিধানের দিকে ফিরে আসতে হবে অর্থাৎ তাওবা করতে হবে, তাহলেই কেবল আমরা সফল হতে পারব। শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ আলেমরা সর্বসম্মতিক্রমে বলেছেন, সর্বদা তাওবা করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। ইমাম কুরতুবি র: ও ইমাম নববী র: এই ইজমার কথা তাঁদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তাওবা আল্লাহর জান্নাত প্রাপ্তি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি, ক্ষমা ও ভালোবাসা পাওয়ার একটি বিরাট সুযোগ ও উপায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ বেশি বেশি তাওবাকারীকে ভালোবাসেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত-২২২)।
আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চায় না কে! সেই ভালোবাসার পাথেয় হলো তাওবা। আর এ তাওবা হতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আমরা জানি, কর্মের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের ওপর। সুতরাং তাওবা আল্লাহর জন্য হলে আমরা তাওবার কাক্সিক্ষত ফজিলত লাভ করতে পারব। তাওবা কিভাবে করতে হয়? মহান আল্লাহর হক বা অধিকার সম্পর্কিত হলে তিনটি শর্ত বাস্তবায়ন করলেই তাওবা হয়ে যাবে। শর্ত তিনটি হলো- এক. পাপ পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দিতে হবে। দুই. পাপের জন্য অনুশোচনা করতে হবে, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে। তিন. ওই পাপ দ্বিতীয়বার না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দৃঢ় সঙ্কল্প করতে হবে ও এরই ওপর অটল ও অবিচল থাকতে হবে। আর মানুষের হক বা অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট হলে এর সাথে আরো একটি শর্ত যুক্ত হবে আর তা হলো সেই ব্যক্তি মানুষের কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে অথবা তার পাওনা-প্রাপ্তি, হক ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ শর্তগুলো পূরণ করলেই তাওবা সহিহ হবে অন্যথায় তাওবা বিশুদ্ধ হবে না। এ ছাড়া এটা খুব ভালো, তাওবা করার জন্য প্রথমে সুন্দর করে অজু করে দুই রাকাত সালাত আদায় করে আল্লাহ সুবহানাহুর কাছে মাগফিরাত-ক্ষমা চাইব বিগত সব পাপ ও আদেশ অমান্য করা থেকে। তবে এই নফল সালাত তাওবার জন্য জরুরি নয়। তাওবার সময়সীমা হলো মৃত্যুর আলামত প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত। এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার বান্দার তাওবা কবুল করেন যতক্ষণ না সে (মৃত্যু যন্ত্রণায়) গরগর করে।’
(সুনানুত তিরমিযি, হাদিস-৩৫৩৭)। তবে এর মানে এ নয় যে, আমরা সেই প্রান্তিক সময়ের প্রতীক্ষা করব, আর মৃত্যুর সময় কাছাকাছি এলে তাওবা করে নেব। প্রকৃত ব্যাপার হলো আমরা কেউ জানি না ঠিক কখন আমাদের মৃত্যুলগ্ন আসবে। তাই পাপে মগ্ন থাকার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ এই সময়সীমা মানুষের জন্য, আল্লাহর বান্দাদের জন্য বিশেষ ইহসান। আমরা যদি হাদিসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই রাসূল সা: বলেন, ‘হে মানব সকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করো; কেননা আমি প্রতিদিনে শতবার তাঁর নিকট তাওবা করি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৩৪)। সুতরাং মুহাম্মাদ সা: এর সুন্নাত অনুযায়ী আমাদের প্রতিনিয়ত ও সার্বক্ষণিক তাওবার ওপর থাকতে হবে। তাওবা ব্যক্তি মানুষের একান্ত অনুভূতির, মনের ও অন্তরের বিষয়। আমাদের সমাজে দেখা যায় তাওবা পড়ান রীতি।
কোনো একজন মানুষ খুবই মুমূর্ষু অবস্থায় আছে, বেঁচে থাকার আশা নেই তখন মসজিদের ইমাম বা কোনো হুজুরকে ডেকে এনে তাওবা পড়ান হয়। আবার দেখা যায় কোনো পীর মসজিদে-ময়দানে বয়ান শেষে উপস্থিত মানুষদের তাওবা করায়, পড়ায়। দেখায় যায়, বয়ান শেষ হলে পীর একটি পাগড়ি ছেড়ে দেন যার একটি অংশ পীরের হাতের মুঠোর মধ্যে থাকে আর, উপস্থিত সবাই সেই পাগড়ি ধরে রাখে এবং যারা পাগড়ি ধরতে না পারে তারা পরস্পরের শরীর স্পর্শ করে অথবা পরিহিত কাপড় ধরে থাকে। তারপর উর্দু-বাংলা-আরবি মিলিয়ে বিভিন্ন বাক্য আওড়িয়ে তাওবা পড়ায়। অথচ তাওবা কাউকে ডেকে এনে করান বা পড়ানর বিষয় নয় বরং তাওবা হলো ব্যক্তি মানুষের একান্ত হৃদয়মনের ব্যাপার; ব্যক্তি স্বয়ং একাকী আল্লাহর কাছে তাওবা করবে।
আর অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এরকম তাওবার কোনো দৃষ্টান্ত কুরআন ও হাদিসে নেই, নেই কোনো সাহাবি-তাবেয়িদের জীবনে কিংবা মুসলিম উম্মাহর প্রাথমিক যুগের কোনো সালফে সালেহিনদের কিতাবে আমলে। এইরূপ তাওবার পদ্ধতি সুস্পষ্ট সুন্নাহ পরিপন্থী গোমরাহি ও বিদয়াত। পরিশেষে আমরা উপযুক্ত তাওবার শর্তগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুন্নাত মোতাবেক তাওবা করে আল্লাহর ভালোবাসা হাসিল করি আর সবসময় এ দোয়া মন দিয়ে অনুভব করে অর্থের দিকে খেয়াল রেখে পড়ি ‘আসতাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবুইলাইহি’- আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইছি ও তাঁর কাছে তাওবা করছি।
লেখক : প্রবন্ধকার

রোজা : ছয়টি অতি পরিচিত ভুল ধারণা

0 মন্তব্য(গুলি)
চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে মুসলমানের পবিত্র রমজান মাস। যারা রোজা রাখেন, তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুই মুখে দেন না।
মুসলিমরা বিশ্বাস করেন- স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণ আর বেশি সময় ধরে ইবাদত-বন্দেগির ভেতর দিয়ে মুসলমানরা এ মাসে নতুন করে আত্মশুদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করেন।
আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়, কিন্তু এটি নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান যেগুলো নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
নিচে রোজা নিয়ে সেরকম ছটি খুব সাধারণ ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো। ব্রিটেনে অ্যাডভান্সড (অগ্রসর) ইসলামি বিজ্ঞান এবং শারিয়া আইনের ছাত্র শাব্বির হাসান তার ধর্মীয় জ্ঞান প্রয়োগ করে এগুলোর বিশ্লেষণ করেছেন :

'দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায়'
অনেক মানুষ মনে করেন পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
কিন্তু ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেন, দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙ্গে না।
শাব্বির হাসান বলেন, অনেক মানুষ অতি সাবধানী।
তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি,- "সবচেয়ে ভালো পরামর্শ অল্প পরিমাণ পেস্ট নিন। মিন্টের গন্ধ কম এরকম পেস্ট ব্যবহার করুন।"
ভয় পেলে, গাছের সরু ডাল থেকে তৈরি মিসওয়াক বা দাঁতন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
'মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা থাকে না'
শাব্বির হাসান বলছেন, মুখের লালা পেটে ঢুকলে কোনো অসুবিধা নাই।
"মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা থাকে না- এই বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই, নিজের লালা গলাধঃকরণ করা খুব স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া, এতে অবশ্যই রোজা ভাঙ্গে না।" তিনি বলেন, বরঞ্চ ইসলামে রোজার সময় মুখের লালা খাওয়া উৎসাহিত করা হয়েছে।
তবে, তিনি বলেন, অন্যের মুখের লালা নিজের মুখে ঢুকলে রোজা থাকবে না।
"রোজা পালনের সময় আপনি আপনার সঙ্গীকে চুমু খেতে পারবেন না, অন্তরঙ্গ হওয়া যাবে না। মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে আপনার আকাঙ্ক্ষাকে সংযত করা। সে কারণেই খাবার, পানীয় বা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বন্ধ রাখতে হবে।"

দুর্নাম, গুজব রটালে রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে
'শুধু খাবার অথবা পানি না খেলেই রোজা কবুল হয়ে যাবে'
শুধুমাত্র খাবার মুখে দিলে বা পানি পান করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে তাই নয়। আরো কিছু আচরণে রোজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মি: হাসান বলছেন, "কিছু অপরাধ জিহ্বা দিয়ে হয়...আপনি যদি দুর্নাম রটান, গুজবে অংশ নেন বা কাউকে গালিগালাজ করেন, তাহলে রোজা কবুল নাও হতে পারে।"
'অসাবধানতাবশত কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যায়'
আপনি যদি সত্যিই একদম ভুলে কিছু খেয়ে ফেলেন, তাহলেও আপনার রোজা বৈধ থাকবে, যদিনা আপনি বোঝার সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করে দেন।
কিন্তু নামাজের আগে ওজুর সময় যদি আপনি অনিচ্ছাকৃত-ভাবে পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ এই ভুল এড়ানো সম্ভব।
মি: হাসান বলেন, "এ কারণে রোজা রেখে অজু করার সময় গারগল না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি শুধু কুলি করে পানি ফেলে দিন।"
'ওষুধ খাওয়া যাবে না'
মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন (এমসিবি) আন্তর্জাতিক গ্লুকোমা সমিতির সাথে যৌথ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে- রোজা রেখেও কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। যেমন, চোখের ড্রপ।
এমসিবি বলেছে, চোখের ড্রপ, কানের ড্রপ বা ইনজেকশনে রোজা ভাঙবে না।
তবে যেসব ওষুধ মুখে দিয়ে খেতে হয়, সেগুলো নিষিদ্ধ । সেহেরির আগে এবং ইফতারির পর তা খেতে হবে।
মি: হাসান বলেন, "প্রথম কথা আপনি যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলে ভাবেতে হবে আপনি রোজা আদৌ রাখবেন কিনা?"
"কোরানে পরিস্কার বলা আছে, আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলুন।"
'যেকোনো পরিস্থিতিতেই রোজা রাখতে হবে'
ইসলামে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক (সাধারণত ১৫ বছর) এবং সুস্থ ব্যক্তির রোজা ফরজ বা আবশ্যিক করা হয়েছে।
এমসিবি বলছে - শিশু, অসুস্থ (শারীরিক এবং মানসিক), দুর্বল, ভ্রমণকারী, অন্তঃসত্ত্বা বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীর জন্য রোজা আবশ্যিক নয়।
"যদি স্বল্প সময়ের জন্য কেউ অসুস্থ হন, তাহলে সুস্থ হওয়ার পর অন্য সময়ে তিনি ভাঙ্গা রোজাগুলো পূরণ করে দিতে পারেন, " হাসান বলেন।
"যদি দীর্ঘস্থায়ী কোনো অসুস্থতা থাকে এবং রোজা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে রোজার মাসের প্রতিদিন ফিদা অর্থাৎ গরিবকে কিছু দান করুন।" ব্রিটেনে এই ফিদার পরিমাণ নির্ধারিত করা হয়েছে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ পাউন্ড।

জেনে নিন সাহরির বরকত

0 মন্তব্য(গুলি)
মাহে রমজানের অন্যতম একটি অংশ হলো সাহরি। রোজার প্রস্তুতি হিসেবে মুসলিমরা সুবহে সাদিকের আগে সাহরি খেয়ে থাকেন। রাসূল (সা.) সাহরির গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বর্ণনা করেছেন। প্রিয় নবীজি তার সাহরিতে দুধ ও খেজুর খেতে পছন্দ করতেন বলে জানা যায়।
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন তোমরা সাহরি খাও কারণ সাহরিতে বরকত রয়েছে। (বুখারি শরিফ)
আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহরি খাওয়াকে মুসলিম ও অমুসলিমদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
হযরত আমর ইবনে আস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন নিশ্চয়ই আমাদের রোজা ও আহলে কিতাবদের(ইহুদি খ্রিস্টান) রোজার মধ্যে তফাৎ হলে সাহরি খাওয়া।(মুসলিম শরিফ)।

যুগে যুগে রোজা
ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির একটি হলো রোজা। প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাস জুড়ে সারা বিশ্বের মুসলিমরা সাওম পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
আল্লাহপাক রোজা যে শুধু আমাদের ওপর ফরজ করেছেন তা নয়, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আগেও অন্যান্য নবী-রাসুলের যুগে রোজার বিধান ছিলো। পৃথিবীর প্রথম মানুষ আমাদের আদি পিতা হযরত আদম(আ.) ও বিবি হাওয়াও রোজা রেখেছিলেন বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে অন্যান্য নবী রসুল(সা.) ও উম্মতের ওপরও রোজার বিধান আরোপ করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা খোদাভীরুতা অর্জন করতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আলুসি (র.) তার ‘রুহুল মাআনি’ তাফসিরে উল্লেখ করেছেন যে, উপরোক্ত আয়াতে ‘মিনকাবলিকুম’ দ্বারা হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হজরত ঈসা (আ.) পর্যন্ত সব নবী-রসুলের সময়কে বুঝানো হয়েছে।
মহান আল্লাহতায়ালা হজরত আদম (আ.)-কে জান্নাতে প্রেরণ করে একটি গাছের ফল খেতে নিষেধ করেছিলেন। মূলত সেটিই ছিলো মানুষের প্রতি আল্লাহর প্রথম সংযমের নির্দেশ। আল কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং সেখানে যা চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তসহ খেতে থাক, কিন্তু তোমরা ওই গাছের কাছে যেও না। (যদি যাও বা তার ফল খাও) তাহলে জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত-৩৫)। হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.) শয়তানের প্ররোচনায় ওই গাছের ফল খেয়েছিলেন এবং পরিণামে মহান আল্লাহতায়ালা তাদের তাদের বেহেশত থেকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন।
এই ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়েছিলেন হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)। এই ভুল থেকে ক্ষমা পেতে তওবা ইস্তিগফার করেন এবং এর কাফ্ফারা হিসেবে ধারাবাহিক ৪০ বছর রোজা রেখেছিলেন তারা।
হজরত আদম (আ.)-এর পর অন্য নবী-রসুলগণের যুগেও রোজার বিধান ছিল। তবে যুগে যুগে তাদের রোজা নিয়ম ও বিধানের ভিন্নতা ছিলো। হজরত নুহ (আ.) এর উপরও রোজা ফরজ ছিল। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হজরত নুহ (আ.) শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ও জিলহজ মাসের দশম দিন ব্যাতীত সারা বছর রোজা রাখতেন। (ইবনে মাজাহ)।
হজরত মুসা (আ.) এর ওপর তাওরাত কিতাব অবতীর্ণ হওয়ার আগে তিনি ৩০ দিন রোজা রেখেছিলেন বলে জানা যায়। আর ওহি নাজিল হওযার পর আল্লাহ তাকে আরও দশ ১০ দিন রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। হজরত ইদ্রিস (আ.) সাড়া বছর রোজা রাখতেন। হজরত দাউদ (আ.) একদিন পর পর রোজা রাখতেন বলে জানা যায়।
হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর রোজা সম্পর্কে আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, ইব্রাহিম (আ.) প্রতি মাসের তিনদিন রোজা রাখতেন (ইবনে মাযাহ)। যাদের উপর প্রধান চারখানা আসমানি কিতাব নাযিল হয়েছে তার একজন হলেন হযরত দাউদ (আ.)। তার উপর নাযিলকৃত আসমানি কিতাবের নাম ‘যাবুর’। হযরত দাউদ (আ.) একদিন রোজা রাখতেন আর একদিন বাদ দিতেন। তার রোজার ব্যাপারে মুসলিম শরিফে উল্লেখ রয়েছে।
মহানবী (সা.) মদিনায় আগমন করার পর শুধু মহররমের আশুরায় রোজা রাখতেন। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা থেকে জানা যায়, রসুল (সা.) মদিনায় এসে ইহুদিদের মহররমের ১০ তারিখে রোজা রাখতে দেখেন। এদিন হজরত মুসা (আ.) ও তার কওমকে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন আল্লাহপাক ফলে শুকরিয়াস্বরূপ এ দিন মুসা (আ.) রোজা রেখেছিলেন। সেই দিনটির স্মরণেই ইহুদিরা আশুরায় রোজা রাখত।
রসুল(সা.) বললেন, আমরা তোমাদের(ইহুদিদের) চেয়ে মুসাকে (আ.) অনুসরণের অধিক হকদার। এরপর তিনি আশুরার দিন রোজা রাখলেন এবং সাহাবায়ে কেরামদের রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করলেন।
এরপর দ্বিতীয় হিজরির ১০ শাবান আসে আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে রোজা ফরজের বিধানের কোরআনের আয়াত। সেই থেকে প্রতিবছর রমজান মাসজুড়ে রোজা পালন ফরজ হয় উম্মতের ওপর।

রোজাদারদের জন্য জরুরী কিছু টিপস

0 মন্তব্য(গুলি)
শুরু হয়েছে মাহে রমজান, সিয়াম সাধনার মাস। শুক্রবার থেকেই বাংলাদেশের মুসলিমরা রোজা পালন শুরু করবেন।
রমজান মাসে ধর্মীয় বিধি বিধানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কারণেই পুষ্টিবিদরা বলছেন দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর সেহরি ও ইফতারে খাদ্য দ্রব্য বাছাইও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। জীবনাচরণেও কিছুটা পরিবর্তন এসে থাকে এই সময়ে, পরিবর্তন আসে নিয়মিত কাজের ধরণেও।
রোজায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ স্বাস্থ্য ঠিক রেখে কিভাবে রোজা করবেন বা রোজার সময় কোন ধরনের খাদ্য দ্রব্য বেশি নেয়া উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলেন অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে যেমন বিরত থাকতে হবে তেমনি সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে। তবে তার মতে কোনোভাবেই বেশি খাওয়া যাবেনা।
পুষ্টিবিদ অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলছেন রোজার জন্য আলাদা ডায়েটের প্রয়োজন নেই। তবে পানি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে তবে এর মধ্য বিশুদ্ধ পানি ও ফলের রসই বেশি কাজে লাগে। তিনি বলেন, ‘ইফতার কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ঘরে তৈরি খাবারই সবচেয়ে নিরাপদ। বেশী তেলে ভাজা বাজারের ইফতার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে’।
গোলাম মাওলা ও নাজমা শাহীন দুজনই মনে করেন তৈলাক্ত খাবার, ভাজা পোড়া বর্জন করাই ভালো। বরং ফল ও খেজুর শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগাবে।

১. ভাজাপোড়া খাবার নয়
অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন মাছ ডাল ভাত আদর্শ খাবার। ভোররাতে গরুর মাংস এড়িয়ে মুরগী খেলে ভালো হবে। তবে প্রয়োজন শাক সবজি ও ডাল শরীরের জন্য ভালো হবে। অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলছেন ব্যক্তিকেই আগে বুঝতে হবে কোনটি তার শরীরের জন্য ভালো হচ্ছেনা। যেটি ক্ষতিকর মনে হবে সেটিকে এড়াতে হবে।
২. খাদ্য তালিকায় কী থাকবে?
পানি, ফল, চিড়া, রুটি, ভাত, সবজি, ডাল, ডিম, হালকা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। গোলাম মাওলা বলছেন মানসম্পন্ন হালিম শরীরের জন্য উপকারী হবে। এটি শক্তি বাড়ায়।
৩. সতর্ক হয়ে খেতে হবে
বিরিয়ানি, তেহারির মতো খাবারকে ভারী খাবার হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন মাঝে মধ্যে ইফতারির পর হালকা কম তেলযুক্ত তেহারি খাওয়া মন্দ না।
৪. নিয়মিত খাবারকে গুরুত্ব দিতে হবে
পুষ্টিবিদ নাজমা শাহীন বলছেন, সাধারণত একজন মানুষ নিয়মিত যেসব খাবার খান রোজার সময়েই সেগুলোই তার জন্য যথেষ্ট। তবে সারাদিন রোজা পালন শেষে পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত। আর বেশি গরম পড়লে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৫. শারীরিক পরিশ্রম কমানো ও শান্ত থাকা
রোজার সময় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম সমস্যার কারণ হতে পারে। গোলাম মাওলা বলছেন একেবারে অলস থাকাও যেমন ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত পরিশ্রমও ক্ষতিকর হবে। তাই এসব বিষয়ে সাবধান হতে হবে।
৬. সহজে যাতে হজম হয়
অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলছেন রোজা পালনকারী ব্যক্তিকে বুঝতে হবে কোন খাবার গুলো তার সহজে হজম হয়। এসব খাবারকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব খাবার হজমে সমস্যা করে সেগুলো না খাওয়াই ভালো। কারণ রোজার সময় শরীরের এনজাইম যা হজর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় সেটি বন্ধ থাকে।
৭. একবারে বেশি খাবার থেকে বিরত থাকা
অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন সারাদিন রোজা পালনের পর একবারে অনেক খাবার খেলে সেটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কোনভাবেই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। বরং ফল ও সবজি দিয়ে পরিমাণ মতো ইফতার করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
৮. খাবার কিভাবে খাবেন?
গোলাম মাওলা ও নাজমা শাহীন দুজনই বলছেন ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। ইফতারির শুরুতেই পানি শরীরের জন্য উপকারী। পাশাপাশি খেজুর শক্তি যোগাতে ভূমিকা রাখে।
৯. স্যুপ হতে পারে দারুণ খাবার
রোজার সময় সারাদিন পর স্যুপ শরীরকে সতেজ করতে পারে এবং খাবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতেও এটি কাজে লাগে। অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলেন শাক সবজি তবে বাধা কপি বাদ দিয়ে ফুলকপির স্যুপ বা লেটুস পাতার স্যুপ অনেক উপকারী। লেটুস পাতায় কোন গ্যাস হয়না। আর গাজর খেলে সেটি হালুয়া বানিয়ে অল্প খাওয়া যেতে পারে।
১০.খাবার ও জীবনাচরণ ঠিক রাখা
অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন শুধু খাবারই নয়, বরং এর পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। আর কঠিন শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ইফতারের পর বা সেহেরীর পর ধূমপান থেকেও বিরত থাকা উচিত।
১১. ঔষধ সেবন করবেন কিভাবে?
রমজানে সাধারণত কিছু সমস্যা হয় যার মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, ক্লান্তি কিংবা অ্যাসিটিডি। আর যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অধ্যাপক গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক নাজমা শাহীন দুজনই এসব বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অধ্যাপক মাওলা বলেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রোজা রেখেও ঔষধ সেবন করা সম্ভব। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইফতার থেকে সেহরির সময়ে ঔষধ সেবন করা যায়।

ইফতারের ফজিলত

0 মন্তব্য(গুলি)
আজ পবিত্র রমজানের প্রথম দিবস পালিত হচ্ছে বাংলাদেশে। সময়ের পার্থক্যের কারণে বিশ্বের কোন কোন দেশে দ্বিতীয় দিবস। মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি রোজার সমাপ্তি হয় ইফতারের মাধ্যমে। ইফতার একটি বরকতময় ইবাদত। হাদিসে এ বিষয়ে অনেক বর্ণনা আছে।
হাদীসে কুদসিতে এসেছে হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, সেই বান্দা আমার অধিক প্রিয় যে যথা শীঘ্রই ইফতার করে(তিরমিযী)।

ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া কবুল হয়। এ বিষয়ে একাধিক হাদিস রয়েছে। হযরত আবু হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া বৃথা যায় না। প্রথমতঃ ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া।
দ্বিতীয়তঃ ন্যায় বিচারক বাদশাহর দোয়া। তৃতীয়তঃ নির্যাতিত-মজলুমের দোয়া। আল্লাহ পাক তাদের দোয়া মেঘের ওপর উঠিয়ে নেন। আসমানের সকল দরজা এর জন্য খুলে যায় এবং পরওয়ারদেগার বলেন, আমার ইজ্জত ও জালালিয়াতের শপথ, আমি নিশ্চয়ই তোমায় সাহায্য করব। প্রয়োজনে তা বিলম্বিতও হতে পারে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইফতারের সময় রোজাদারের একটি দোয়াও প্রত্যাখ্যাত হয় না।(ইবনে মাজাহ)
জেনে নিন সাহরির বরকত
রাসূল (সা.) সাহরির গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বর্ণনা করেছেনরাসূল (সা.) সাহরির গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বর্ণনা করেছেন

মাহে রমজানের অন্যতম একটি অংশ হলো সাহরি। রোজার প্রস্তুতি হিসেবে মুসলিমরা সুবহে সাদিকের আগে সাহরি খেয়ে থাকেন। রাসূল (সা.) সাহরির গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বর্ণনা করেছেন। প্রিয় নবীজি তার সাহরিতে দুধ ও খেজুর খেতে পছন্দ করতেন বলে জানা যায়।
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন তোমরা সাহরি খাও কারণ সাহরিতে বরকত রয়েছে। (বুখারি শরিফ)
আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহরি খাওয়াকে মুসলিম ও অমুসলিমদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
হযরত আমর ইবনে আস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন নিশ্চয়ই আমাদের রোজা ও আহলে কিতাবদের(ইহুদি খ্রিস্টান) রোজার মধ্যে তফাৎ হলে সাহরি খাওয়া।(মুসলিম শরিফ)।