Translate

তোমার সানুগ্রহে

Wednesday, September 9, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)

তোমার সানুগ্রহে
আমি আত্মরক্ষা করতে শিখছি
তাই সতর্কবানী নিয়ে আসা লাল
কাঁকড়ার ঝাঁক
বিরহের নীল ফনা তোলা ঢেউ থেকে
নিজেকে রক্ষা করি
বুক থেকে দূরে ঢেলে দেই বিষাক্ত
স্বপ্নের নীল রঙ
ধূর্ত হাতছানিকে অবহেলা করি, এড়িয়ে
যাই
সৈকতে ফিসফিসানি গোঙ্গানী
শঙ্খে কান পেতে শিয়ালের ডাক শুনি
না
সব লোভ উপেক্ষা করে নিজেকে রক্ষা
করি
পাষানে বেঁধেছি মন ছটফট সারাক্ষণ
যাবে যদি যাও বাঁধা দেব না
রাগে ক্ষোভে খাঁমচে দিও না বুক
আমিও জানি না সুখ আর কত দূর

চলে যাবার সময় হটাৎ

0 মন্তব্য(গুলি)

চলে যাবার সময় হটাৎ
তোমার পিছু ফিরে তাকানো ...
স্পষ্ট দেখতে পেলাম তোমার প্রাপ্তি ...
চোখেঁর কোনের চিকচিক জল ।
আর ঘুটঘুটে অন্ধকারের সাথে
মিশে যাওয়া তোমার চুল ...
আমাকে নিয়ে গেল দুর থেকে দুরত্বে।
কখনোই অনুভব করি না ...
কষ্টগুলোর অবাধ বিচরন ...
যেন তন্দ্রাচ্ছন্ন আমি...
দু'চোখের কোনে জলের অস্তিত্ব
নির্বাক...
তাই এখনো খুজে বেরাই ...
আমার প্রাপ্তি

মেঘবালিকা এসো

0 মন্তব্য(গুলি)

মেঘবালিকা এসো
আমার কাছে এসো
আমার স্বপ্ন তোমায় দিলাম
আমায় ভালোবেসো ।।
মেঘবালিকা এসো
মেঘকে দিয়ে ছুটি
তোমার জন্য আছে জমা
সুদিনের কথাটি ।।
মেঘবালিকা এসো
চোখে রাখো চোখ
ভিজবে তোমার হৃদয় আগুন
বৃষ্টি হোক না হোক ।।
মেঘবালিকা এসো
মৌন তেপান্তর
কেউ কখনো জানবেনা এই
মেঘবালিকার খবর ।।
মেঘবালিকা এসো

এখানে রাত্রি নামে,

1 মন্তব্য(গুলি)

এখানে রাত্রি নামে,
উড়ে যায় সাদা বক/
জোনাক পোকায় চড়ে
স্বপ্ন আলো/
দেখেনা সে মালতী লতা, পলাশ ফুলের
শোভা/
কিশোরীর কালো চোখ, আধার কালো !/

ওগো চাঁদ,

1 মন্তব্য(গুলি)
ওগো চাঁদ,
দখিনের জানালায় একা বসে আমি
নির্ঘুম রজনীর প্রহর গুনি।
এক প্রহর...দ্বি-প্রহর...তিন প্রহর...
তুমি কোন প্রহরে উঠবে গো চাঁদ?
দেখবো তোমার মুখখানি...
অভিমানি তুমিও!
অভিমানে মুখ লুকালে যে আঁধারে,
সেই অভিমান ভাঙবে তোমার কোন
প্রহরে?
কোন প্রহরের আঁধার ভেদে
উঠবে তুমি আকাশ ছেদে
তোমার আলোয় মন ভাসাতে আমিও!
কেবল একলা আমি গল্প বুনি
একলা রাতের গল্প শুনি
দুখের সুরে বুক বেঁধেছি জানিও।
আমি ভালোবাসা রেখে গেলাম
হাওয়ার বুকে
তুমি শেষ প্রহরে ভালোবাসার
আবেশ মেখে
রাতের কাছে একটা প্রেমের
গল্প শুনিও।।
অভিমানি আমিও...

প্রতিদিনই স্বপ্ন দেখি আমি

0 মন্তব্য(গুলি)

প্রতিদিনই স্বপ্ন দেখি আমি । আমার
স্বপ্নের কোন পরিবর্তন হয় না - তোমাকে
ফিরে পাবার স্বপ্ন!!!
দিন দিন কেমন যেন দুঃখবিলাসী হয়ে
যাচ্ছি আমি ।
রাতে ঘুমোতে যাই মনে অদম্য বাসনা
নিয়ে
কিন্তু সকাল হলেই স্বপ্নসাধ হাওয়ার
সাথে মিলিয়ে যায় …… আবার ভোর হয়
,নিদ্রাহীন রাত কেটে যায়, ব্যর্থ
একদিনের সমাপ্তি ঘটে….. তবু ও
তোমাকে পফরে পাবার স্বপ্ন আমার
শেষ হয় না ।
তোমার প্রতি ভালবাসা আরো গাঢ় হতে
থাকে...
আরো বেশি উম্মাদ হয়ে যাই আমি
ভুলে যাই আমার ক্লাস,পড়া কিংবা
খেলা
মন আমার খেয়া তরী হয়ে বেদনার নীল
সমুদ্রে নোঙর করে : সেই সব দিনের কথা
আরো বেশি উজ্জল হতে থাকে ।
আমি ভুলে যেতে থাকি আমার সুন্দর
ভবিষ্যত কিংবা ক্যারিয়ারের কথা
খোদা আমার স্বরনশত্তি কেন জানি
বৃদ্ধি করে দিয়েছে সেটা- তোমাকে না
ভুলে যাওয়ার শক্তি।
তাইতো ………… সব কিছু কেমন যেন অদ্ভুদ
লাগে আমার কাছে । হবেই না বা কেন!
সারাক্ষণ যদি তোমার ধ্যানে থাকি,
প্রতিনিয়ত যদি তোমার কথা ভাবি ,অন্য
সব কিছু পাবার আশা বাদ দিয়ে যদি
তোমাকে …একান্ত তোমাকেই ভাবি !
তবে কেন এমন হবে না আমার।
সত্যিই ..যদি একবার দেখতে আমাকে
….হয়তবা একটু হলে ও কষ্ট হতো তোমার্।
আমি জানি না কি এমন পাপ করেছি
আমি।খোদা আমাকে কেন এত শাস্তি
দিচ্ছে । হয়ত তিনি যা করেন ভালোর
জন্যেই করেন । কিন্তু এ কেমন ভাল
খোদা ? তুমি নিজেই বলে দাও ।
তাকে ছাড়া যে আমার দুনিয়া অন্ধকার ।
তাকে ভালোবেসেই যে আমি বাঁচতে
চাই তার জন্যে শুধুই তার জন্য

নিজেকে খুঁজতে বেরিয়েছিলাম

0 মন্তব্য(গুলি)

নিজেকে খুঁজতে বেরিয়েছিলাম একদা—
যখন মনের মাঝে ফাগুন ছিলো
আগুন ছিলো ঝিনুক খাঁজে,
আজকে এই মেঘহীন এক ছন্নছাড়া শহরে
এসে হয়ে মনে হলো
বৃষ্টি হয়না বহুকাল ধরে,
সেই আগুনে ভিজবো বলে
বসে ছিলাম, শ্যাওলাধরা পুকুর ধারে—
বৃষ্টি হয়না, তবুওতো বৃষ্টি হয়না
কি জানি তাও বৃষ্টি হয়না !
মনের মাঝে … ফাগুন ছিলো
ছন্নছাড়া এই শহরে এসে মনে হলো,
আমাকে আমি পেতে পারি এক শর্তে
যদি পারি আগুন জ্বেলে বৃষ্টি আনতে
এই শহরে …
যে শহরে আসবো বলে
একদিন সব হারিয়ে, হারিয়েছিলাম
নিজেকে নিজে  !

ওগো চাঁদ,

0 মন্তব্য(গুলি)
ওগো চাঁদ,
দখিনের জানালায় একা বসে আমি
নির্ঘুম রজনীর প্রহর গুনি।
এক প্রহর...দ্বি-প্রহর...তিন প্রহর...
তুমি কোন প্রহরে উঠবে গো চাঁদ?
দেখবো তোমার মুখখানি...
অভিমানি তুমিও!
অভিমানে মুখ লুকালে যে আঁধারে,
সেই অভিমান ভাঙবে তোমার কোন
প্রহরে?
কোন প্রহরের আঁধার ভেদে
উঠবে তুমি আকাশ ছেদে
তোমার আলোয় মন ভাসাতে আমিও!
কেবল একলা আমি গল্প বুনি
একলা রাতের গল্প শুনি
দুখের সুরে বুক বেঁধেছি জানিও।
আমি ভালোবাসা রেখে গেলাম
হাওয়ার বুকে
তুমি শেষ প্রহরে ভালোবাসার
আবেশ মেখে
রাতের কাছে একটা প্রেমের
গল্প শুনিও।।
অভিমানি আমিও...

শুনেছি ভালবাসা নাকি

0 মন্তব্য(গুলি)
শুনেছি ভালবাসা নাকি দুজনের মিল
হওয়া
কেউ বলে ভালবাসা ছলনা আর হতাশা
... কারো কাছে ভালবাসা মানে
আকাশের চাঁদ পাওয়া
কেউ বলে ভালবাসা হল জীবন নষ্ট করা
কারো কাছে ভালবাসায় স্বর্গের
বাতাস বয়
ভালবেসে অনেকেই রাস্তার ফকির হয়
ভালবাসা মানে কি শুধুই রেস্তোরাতে
খাওয়া
ভালবাসা মানে কি শুধুই লিটনের ফ্ল্যাট
এ যাওয়া ?
আজো আমি খুজে পাইনি
ভালবাসার অর্থ ????...... আমার
অজানা !?!?!?!

জানো নিলিমা ,

0 মন্তব্য(গুলি)
জানো নিলিমা , আমি কখনও আকাশ
দেখিনি ,
কারন আকাশের সব নীল তো তোমার
মাঝেই আছে ,
তাই আর আকাশ দেখার দরকার মনে
করিনি......
বন্ধুরা সব গিয়েছিলো সাগর দেখতে ,
আমি জানি ,
কারন আমি তোমার মন দেখেছি ,
সে তো সাগরের চাইতেও বিশাল.........
আমি কখনো পাহাড় দেখিনি , যদি
জানতে চাও কেন ?
তবে বলব , তোমার প্রতি আমার
ভালবাসা চিরসবুজ
আমার আর পাহাড় দেখার কি দরকার বল

কতদিন কতরাত্রির

0 মন্তব্য(গুলি)
কতদিন কতরাত্রির কোলাহল জমিয়ে
রেখেছি তুলে....
ফুলতোলা ফোনের রিসিভারে
তুমি আর আমি আমি আর তুমি
পূড়িয়েছি কত কাঠখড় স্বপ্নের নীলকন্ঠ
ধূপে
সমুদ্রস্নানের পরে পুনরায় ঝর্ণার হিম
স্তব্ধতায় হয়েছি বিশুদ্ধ আরো
তারপর তারও বহুপরে এক বৃষ্টি সন্ধ্যার
ভোজে
রুপোচাঁদে ডুবে ভেসেছি সংসারে
আজ বহুদিন পরে
ঢাকার লুকোচুরি বৃষ্টির ভেতরে,সন্ধ্যায়
পুনরায় লেকের পাড় ধরে যেতে যেতে
আবারো ছুঁয়েছি আমরা তোমাকে
আমাকে

তুমি আছো বলেই

0 মন্তব্য(গুলি)
তুমি আছো বলেই আমি ভুলেছি আমাকে,
জেনেছি গভীরতম দুঃখও মাঝে মাঝে
কারো হাসিতে হারিয়ে যেতে পারে।
ঠিক যেমন বিদীর্ণ মরুর বুকে জন্ম নেয়
ছায়াবৃক্ষ।
কল্পনার বিস্ময়তা ভীরু চোখে তাকায়
আমার বাস্তবতাকে,
তোমার স্পর্শে যেন লাল গোলাপটিও
জেগে উঠে,
জেগে উঠে কবিতার শব্দগুলো।
নীরব চাহনি যে এত কিছু বলে,
তাও তোমার জন্যই যেনেছি।
অনেক কিছু জেনেও,
যেন নির্বোধ হয়ে থাকি তোমার কাছে।
এক মুহূর্তে আমি ক্লান্তিহীন আনন্দে,
ঠিক পরের মুহূর্তে বিষাদের রাজ্যে।
চলতে থাকে এ রাজ্য বদল,
চলতে থাকে তোমার হেঁয়ালি ভালবাসা

প্রখর রোদ্দুরে, ভারি হয়ে আসে নিঃশ্বাস.. দু দন্ডের বিশ্রামে নেই,

0 মন্তব্য(গুলি)

প্রখর রোদ্দুরে,
ভারি হয়ে আসে নিঃশ্বাস..
দু দন্ডের বিশ্রামে নেই,
স্বস্থির বিশ্বাষ..।
দুরে;
বহুদুরে-
তেপান্তরের সুদুর পারে,
অপেক্ষায় অস্তরাগের অবাক আলো..।
ভবঘুরে মেঘ যত..
ছায়া পড়ে,
তোমার মনের পরে..
চোখের পাতায়,
স্ফটিক জ্বলা ঘোলা দৃষ্টিতে;
বিকেলের কোমল নরম ছোঁয়া..।
একলার পথ,
দীর্ঘ মৌনপ্রহর..
নিকশ কালো আঁধারের আয়নায়,
বিস্মৃত স্মৃতির বালিয়ারি..
ভোলা যায় না কিছুই,
কিছুই ভোলার নয়..।
অথচ -
দুচোখে রাজ্যের ক্লান্তি মেখে,
আদরের চাদর গায়ে;
নেমে আসে ঘুম..।
মহাকালের ছায়াপথে,
সময়ের ক্যানভাসে..
সকরুন জলস্পর্শে;
আল্পনা এঁকে যায়,
পথিক ও পথ..।
অপেক্ষায়;
তখনো,
অত্যাশ্চর্য ভালোবাসা -
নিঃশ্চুপ নিঝুম নিলাচল

প্রখর রোদ্দুরে, ভারি হয়ে আসে নিঃশ্বাস.. দু দন্ডের বিশ্রামে নেই,

0 মন্তব্য(গুলি)

প্রখর রোদ্দুরে,
ভারি হয়ে আসে নিঃশ্বাস..
দু দন্ডের বিশ্রামে নেই,
স্বস্থির বিশ্বাষ..।
দুরে;
বহুদুরে-
তেপান্তরের সুদুর পারে,
অপেক্ষায় অস্তরাগের অবাক আলো..।
ভবঘুরে মেঘ যত..
ছায়া পড়ে,
তোমার মনের পরে..
চোখের পাতায়,
স্ফটিক জ্বলা ঘোলা দৃষ্টিতে;
বিকেলের কোমল নরম ছোঁয়া..।
একলার পথ,
দীর্ঘ মৌনপ্রহর..
নিকশ কালো আঁধারের আয়নায়,
বিস্মৃত স্মৃতির বালিয়ারি..
ভোলা যায় না কিছুই,
কিছুই ভোলার নয়..।
অথচ -
দুচোখে রাজ্যের ক্লান্তি মেখে,
আদরের চাদর গায়ে;
নেমে আসে ঘুম..।
মহাকালের ছায়াপথে,
সময়ের ক্যানভাসে..
সকরুন জলস্পর্শে;
আল্পনা এঁকে যায়,
পথিক ও পথ..।
অপেক্ষায়;
তখনো,
অত্যাশ্চর্য ভালোবাসা -
নিঃশ্চুপ নিঝুম নিলাচল

একমুঠো ভালোবাসা দাও আমায়,

0 মন্তব্য(গুলি)

একমুঠো ভালোবাসা দাও আমায়,
বিনিময়ে না হয় তোমার সব,
দুঃখ গুলো আমার করে নিব.
একটি বার তোমার
ভালোবাসার আবেশে,
জড়িয়ে ধরো আমায়.
বিনিময়ে না হয় তোমার স্বপ্নগুলো,
আমার নিজ হাতে গড়ে দেব.
একটি বার কান পাতো আমার বুকে.
দেখবে আমার প্রতিটি হৃদ স্পন্দনে
ধ্বণিত হয় তোমার নামে.
ইচ্ছে করে পৃথিবীর সব সূখ,
পাঠিয়ে দিই তোমার তরে.
ভরে ভালোবাসার নীল খামে.....

তাশ

0 মন্তব্য(গুলি)

ইনডোর গেম গুলোর মধ্যে বিশ্ব জোড়া জনপ্রিয় একটি খেলা হলো তাস। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষই অন্ততপক্ষে তাস খেলা না জানলেও প্রায় সবাই তাস দেখেছেন বা এর নাম শুনেছেন। ভার্সিটিতে পড়েছেন অথচ খেলাচ্ছলে জীবনে কখনো তাস হতে নেননি এমন মানুষ বিরল। তাস মোট চার ভাগে বিভক্ত। সেগুলো হলোঃ ইস্কাপন, হরতন, রইতন এবং চিড়তন । আমরা সবাই হয়তো কম-বেশি এই নাম গুলোর সাথে পারিচিত। কিন্তু আমরা কি এই নাম গুলোর ইতিহাস কেউ জানি? তাসের এই ইস্কাপন, হরতন, রইতন, চিড়তন এর প্রতীক গুলো কোথা থেকে আসলো এর অর্থ কি ? কিংবা এই প্রতীক গুলোর পিছনের ইতিহাসই বা কি? আমরা সবাই জানি যে ৫২ টা তাসের ৫৩ টা খেলা রয়েছে। আপনাদের অনেকেই হয়তো ৫৩ খেলার সবগুলোই পারেন।
কিংবদন্তি আছে ইংল্যান্ডের লীডস শহরের একজন অধিবাসিনী ছিলেন মিসেস হচকিস। এগারো বছর ধরে তিনি পঙ্গু হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন। কথাবার্তা বলতে না পারলেও জ্ঞান ছিল। এগারো বছর বিছানায় শুয়ে শুয়ে তিনি একার্তে তাস খেলতেন। ১৭৯৫ সালে হঠাৎ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগের মুহূর্তেও তাঁর হাতে ছিল রুহিতনের সাত। হাত থেকে সেই রুহিতনের সাত যখন কিছুতেই আলাদা করা গেল না তখন সেই অবস্থাতেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
তাস খেলা একটি ভয়ংকর নেশা। অথচ শুরুতে অর্থাৎ তাসের জন্মলগ্নে কিন্তু এটি মোটেই আমজনতার খেলা ছিল না। মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট একবার বলেছিলেন, ‘আমি যখন ব্রীজ খেলি, তখন পাশ দিয়ে যদি একজন নগ্ন নারী হেটে যায়, আমি ফিরেও তাকাব না।’ শুধু ওয়ারেন বাফেটই না, আরেক শীর্ষ ধনী বিল গেটসসহ আমেরিকার আরও অনেক শীর্ষপর্যায়ের ব্যাক্তিই আসক্ত ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ নামে তাসের একটি জনপ্রিয় খেলার উপর। ১৯২৯ সালে এই ব্রীজ খেলাকে কেন্দ্রই করে ঘটে গিয়েছিল একটি ভয়াবহ খুনোখুনির ঘটনা। পছন্দসইভাবে না খেলার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের স্বামীকেই খুন করে বসেছিলেন মার্টল বেনেট নাম্নী একজন মহিলা। বিখ্যাত অভিনেতা ওমর শরিফ তাস খেলার উপরে এতটাই আসক্ত ছিলেন যে তিনি শিকাগো ট্রিবিউনে ব্রীজ নিয়ে নিয়মিত কলাম লিখতেন এবং পরবর্তীতে ওমর শরিফ ব্রীজ সার্কাস শ্লোগান নিয়ে একবার বিশ্বভ্রমণও করেন। নিউ ইয়র্কের শীর্ষ বিনিয়োগ ব্যাংক বিয়ার স্টার্নের সাবেক প্রধান জিমি সেইন একজন জাতীয় ব্রীজ চ্যাম্পিয়ন। নিক নিকেলের সঙ্গে জুটি বেধে তিনি একবার আয়োজন করেছিলেন 'কর্পোরেট আমেরিকা বনাম কংগ্রেস’ ব্রীজ ম্যাচ। নিক নিকেল আমেরিকার ব্রিজ লিগ অঙ্গনের একজন কিংবদন্তী। কর্পোরেট আমেরিকার পক্ষে সেইন ও নিকেল দলে ভিড়িয়েছিলেন সাবেক সিবিএস নির্বাহী লরেন্স টিচ ও বিয়ার স্টার্নের তৎকালীন সভাপতি অ্যালান গ্রীনবার্গকে। তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন কংগ্রেসের টেক্সাস সেন, কেন বেইলি হাচসন,কেন্টাকি, জিম বানিংসহ আরও অনেকের। বরাবরের মতো ব্রীজেও জয় হয়েছিল কর্পোরেট আমেরিকার।
একবার রাজা জেমস প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন এবং রয়েল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট জ্যোতির্বেত্তা হ্যালিকে রাজপ্রাসাদে নিমন্ত্রণ করেন। ডিনারের পর তাস খেলা শুরু হয়। তাসগুলি ছিল অ্যাষ্ট্রনমিক্যাল কার্ড। তাসের গায়ে বিভিন্ন নক্ষত্রপুঞ্জের ছবি আঁকা ছিল। খেলার স্মৃতি হিসাবে রুহিতনের তিরি প্রাসাদে রাখা হয়েছিল। পরে এটি অ্যাষ্ট্রনমার হাসেলকে দেখানো হয়। হাসেল তাসের কিছু জানতেন না। ছবিতে আঁকা তারাগুলি তাঁর মনঃপূত না হওয়ায় তিনি বললেন, ‘Why didn’t the artist make five points to the stars? there is no use upsetting the convention!’
তাস খেলার আবিষ্কার হয়েছে আজ থেকে প্রায় ছয়শত বছরেরও বেশি সময় আগে পঞ্চদশ শতকে। বিশ্বে প্রথম তাস খেলার প্রচলন ঘটে চীনে। খ্রিস্টীয় নবম শতকের দিকে টাং রাজার রাজত্বকালে অন্তঃপুরবাসী রানীরা তাস খেলে সময় কাটাতেন। তখন খেলার তাস হিসেবে পয়সা ও প্লেট ব্যবহার করা হতো। এ খেলা দ্রুত ভারতবর্ষেও তখন ছড়িয়ে পড়ে এবং খেলার তাস হিসেবে তখন রিং, তলোয়ার, কাপ ইত্যাদি ব্যবহার করে। তবে ৫২ তাসের খেলা প্রচলন করে প্রাচীন মিশর। তারা এই তাস চারজন মিলে খেলত। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারজন মিলে যেভাবে তাস খেলা হয়, সেটা মিশর উদ্ভাবন করেছিল খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত এই খেলা রাজপরিবার এবং সৈন্য-সামন্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে জার্মানির রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাসের নামেও আসে পরিবর্তন। ক্ষমতানুযায়ী তাসের নাম দেওয়া হয় রাজা-রানী, জোকার ইত্যাদি। বর্তমানে এই খেলা এত বেশি জনপ্রিয় যে, তা মোবাইল ও কম্পিউটারের ভেতরেও ঢুকে গেছে।
চীন থেকে যারা গাধার পিঠে করে অথবা হাতিতে করে মালামাল বিভিন্ন দেশে নিয়ে যেত অথবা বাণিজ্যিক কারণে যারা চীনে আসত তাদের মাধ্যমে তাস খেলা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মামলুক শাসকরা এ খেলার নাম দিয়েছিল ন্যাব, নাইবি অথবা নাইপ। মামলুকরা বিশেষ করে মিশরে বায়ান্ন তাস দিয়েই এ খেলার প্রচলন রেখেছিল; কিন্তু তাদের তাসের প্রতীকগুলো ছিল ভিন্ন ধরনের। তারা ১-১০নং কার্ডকে কোর্ট কার্ড হিসেবে ধরে কিং কুইন এবং ভিজির চিহ্নিত একটি কার্ডও রাখত। ভিজির রুশ শব্দ, এর অর্থ হল উজির। মামলুক সম্রাটের কোনো এক উজিরের নাম ছিল নাইয়িব। তিনি এ খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন বলে মিশরে ন্যাব, নাইবি অথবা নাইপ নামে এই খেলার প্রসার ঘটেছিল।
পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইউরোপের দেশগুলোতে তাস খেলা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে ইউরোপীয় শাসকরা একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কারণ ওই সময় এ খেলাটি বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ব্যাপকভাবে জুয়া হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে; কিন্তু ইউরোপীয় রাজন্যবর্গের নিষেধাজ্ঞা মোটেই কার্যকর হয়নি। জোহানবার্গের প্রিন্টিং মেশিন আবিষ্কারের ফলে বিপুল পরিমাণের তাস ছাপা হয়ে ইউরোপীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় শাসকবর্গ এটাকে গ্রহণ করে নেয় সঙ্গে সঙ্গে গামবুলিংও অলিখিতভাবে স্বীকৃত হয়ে যায়। তাসের প্রতীকগুলো হল দৃশ্যমান কিছু ছবি। এতে ইশকাপন, হরতন, রুহিতন এবং চিড়িতন থাকে। এর মধ্যে প্রত্যেকটিরই রাজা, রানি এবং গোলাম আছে এবং এর সঙ্গে নির্দিষ্ট নম্বর মারা প্রত্যেকটি রঙ এবং প্রতীকের কিছু তাস রয়েছে। অবশ্য একই প্রতীক নিয়ে বা তাসগুলোর মান ও নাম একই রকমভাবে; কিন্তু বিশ্বের সব দেশে প্রচলন হয়নি। ইতালিতে রাজা ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার ডোনা বা রানি এবং অন্য তাসগুলোতে সৈনিক হিসেবে কল্পনা করে তাস খেলা প্রসারের প্রথম দিকে খেলা আরম্ভ হয়, পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ঘোড়সওয়ারের সঙ্গে শিকারি। যে রাজহাঁস বা হরিণ শিকার করে এবং রাজহাঁস বা হরিণের ছবি সংবলিত তাসও বায়ান্ন তাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়; কিন্তু তাসের সংখ্যা বায়ান্নই থেকে যায়।
ফ্রান্সে ১৪৮০ সালে যখন তাস খেলার প্রচলন ঘটে, তখন তাদের তাসগুলো ছিল ইশকাপন, হরতন, রুহিতন এবং চিড়িতন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তরবারিধারী রাজা এবং একচক্ষু রানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন এই খেলা প্রথম প্রবেশ করে তখন এই খেলার মধ্যে তারা নতুন একটি নিয়ম সংযোজন করে, যাকে তারা বলত ট্রয়নকি। বর্তমানে এই শব্দটি থেকে ট্রাম শব্দটি এসেছে।
তাসের চারটি প্রতীক পঞ্চদশ শতকের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর পরিচয় বহন করে । আবার তাসের ছবিগুলোতে উপস্থাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক নানা ব্যক্তিত্বের। প্রথম দিকে তাসের প্যাকেটে ৭৮টি তাস থাকত। কিন্তু এতগুলো তাস নিয়ে খেলা জটিল ও কষ্টকর হয়ে ওঠায় তাসের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। তবে হ্রাসকৃত সংখ্যার মধ্যে যে তাসটি এখনো সগৌরবে টিকে আছে সেটি হলো জোকার। খেলুড়েদের কাছে এই তাসটি সুপার ট্রাম্প কার্ড হিসেবে পরিচিত।
প্রধান চারটি তাস কিসের প্রতীক বহন করে চলেছে এবার সেটা জানা যাকঃ-
-> ডায়মন্ডস হলো ধনী শ্রেণীর প্রতীক। তখনকার সময়ে এরা ছিলো শাসক শ্রেণী। ডায়মন্ডস দিয়ে তাদের ধনদৌলত-ঐশ্বর্য কে বোঝানো হতো।
-> স্পেডসের হলো সৈন্যের প্রতীক । স্পেড শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ স্পাডা থেকে। যার অর্থ তরবারি।
-> হার্টস পাদ্রিদের প্রতীক। আগে প্রতীকটির আকার ছিল পান পাতার মতো। পরে ওটা হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের আকার পায়।
-> ক্লাবস বলতে বোঝানো হতো গরিব মানুষদের। ইংরেজি ক্লাবের বাংলা হলো মুগুর। গরিব শ্রেণীর মানুষের মুগুরই সম্বল এরকম একটা অর্থ বহন করে এই তাসটি।
তাসের গায়ের ছবিগুলোরও রয়েছে ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাঃ-
ইস্কাপন বা স্প্রেডসঃ- কিং অব স্প্রেডস হলো রাজা ডেভিড, গোলিয়াথের হত্যাকারী। বাইবেল অনুযায়ী এই রাজা ইসরাইল শাসন করেছিলেন। বাইবেলে আরো বলা হয়েছে যে, তিনি ছিলেন যিশু খ্রিষ্টের পূর্বপুরুষ। এই বিখ্যাত রাজার বৈশিষ্ট হলো তিনি আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন কাজ করেন না। এবং তিনি সব সময় বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেন। এই তাসের রানী হলেন গ্রিক যুদ্ধ দেবী প্যালাস, যিনি দুই হাতে ধরে আছেন তরবারি ও ফুল।
হার্টস বা হরতনঃ- কিং অব হার্টস এর ছবি আঁকা হয়েছে বিখ্যাত রাজা শার্লেমেন বা চার্লস এর অনুকরণে যিনি ৮০০ খ্রিস্টাব্দে জয় করেন অর্ধেক ইউরোপ। তাসে দেখা যায়, এই রাজা তার তলোয়ারটি নিজের মাথায় ঠেকিয়ে নিজেকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছেন। তাই অনেকে এই রাজাকে আত্মঘাতী রাজাও বলে থাকেন। আরও একটি চমৎকার বিষয় লক্ষনীয় যে, 'তাসের রাজাদের মধ্যে একমাত্র হার্টসের রাজারই কোন গোঁফ নেই। এটা সম্পর্কে সামু ব্লগের সিনিয়র ব্লগার শায়মা
আপুকে জেন রসি ভাইয়ের করা 'নজরবন্দি বাজিকর' নামক একটা পোস্টে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে 'আপু বলেন তো কোন রাজার গোঁফ নেই?' আমার প্রশ্নের উত্তরে ঢঙ্গী (উনি নিজেই বলেন) আপু শায়মা খুব সুন্দর একটি কবিতা রচনা করে তার উত্তর দেনঃ-
সেই রাজা যেই রাজা যার নেই গোঁপ
হৃদয়ের রাজা সে যে তাই গোফ লোপ!
পোস্টটার লিংকঃ- Click This Link
তার তাসের রানী হলেন বাইবেল উল্ল্যেখিত নায়িকা জুডিথ। যিনি রাজার তরবারির এক আঘাতে এক আসিরিয়ান সেনাপতিকে হত্যা করেছিলেন।
ডায়মন্ডস বা রইতনঃ- কিং অব ডায়মন্ডস হলেন রোমের বিখ্যাত শাসক, রাজনীতিবিদ এবং সাহিত্যিক রাজা জুলিয়াস সিজার। রোম সম্রাজ্যের উত্থানে এই প্রভাবশালী শাসকের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। তিনি খুবই দক্ষতার সাথে রোমের রাজনীতি দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ন্ত্রন করে গেছেন। আরও একটি মজার বিষয় হলো, তাসের রাজাদের মধ্যে সব রাজারই মুখ স্পষ্ট দেখা গেলেও একমাত্র রইতনের রাজারই মুখ অর্ধেক দেখা যায়। কুইন অব ডায়মন্ডস হলেন তার স্ত্রী র্যাচেল।
ক্লাবস বা চিড়িতনঃ- কিং অব ক্লাবস হলেন দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, যিনি ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে পৃথিবীর প্রায় পুরোটা দখল করে নিয়েছিলেন। গ্রিসের মেসিডোনিয়ার এই সম্রাটের নাম শোনেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আগের চিড়িতন তাসে পৃথিবীর মানচিত্রের গোলক থাকত, কিন্তু পরে তার আলখেল্লায় গোলকটি আঁকা হয়। কুইন অব ক্লাবস হলেন একমাত্র ইংরেজ মহিলা। যিনি আর কেউ নন ব্রিটিশ রানী প্রথম এলিজাবেথ। তার গোলাম হলেন রাউন্ড টেবিলের বিখ্যাত নাইট, স্যার ল্যান্স লট।
সব চেয়ে সেরা তাস হচ্ছে ইস্কাপনের টেক্কা। একে ‘হেড অব দি প্যাক’ বলা হয়। ইংল্যাণ্ডে যখন প্রথম তাস খেলার প্রবর্তন হল তখন তাসের উপর দুর্দান্ত ট্যাক্স বসানো হয়েছিল। তাস প্রস্তুতকারক প্রত্যেক ফার্মকে এক কুড়ি ইস্কাপন টেক্কার তাস এক সঙ্গে ছাপা হয় এমন একটি প্লেট তৈরি করে সরকারকে দিতে হত। এই প্লেটের সাহায্যে ইস্কাপন টেক্কার সব তাসই সরকারি ছাপাখানা অর্থাৎ সমারসেট হাউসে ছাপা হত। কোম্পানির নিজস্ব নাম ও মার্কা এই তাসের উপর লেখা থাকত। প্রত্যেক কুড়িটি টেক্কার সিটের জন্য তাস ব্যবসায়ীকে দিতে হত এক পাউণ্ড এবং প্রতি একশো জোড়া তাসের জন্য ট্যাক্স লাগত পাঁচ পাউণ্ড। সে যুগে এক প্যাক তাসের দাম ছিল অনেক বেশি। কম করে হলেও এক প্যাক তাসের দাম এক গিনি। ফলে তাস খেলাটা অত্যন্ত ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে ব্রিটেনে ট্যাক্স কমে তিন পেন্সে এসে দাঁড়িয়েছিল। ইস্কাপনের টেক্কাকে স্প্যাডিলও বলা হত। আলেকজাণ্ডার ডুমা তাঁর লেখায় বলেছেন যে, শিশু নেপোলিয়নের ভাগ্য গণনার সময় কর্সিকার ডাইনি বুড়ি কড়াইতে যে ঐন্দ্রজালিক পাঁচন জ্বাল দিয়েছিল তার অন্যতম উপাদান ছিল স্প্যাডিল।
Ace হচ্ছে টেক্কা। এই শব্দটি এসেছে ল্যাটিন AS কথা থেকে যার অর্থ একক। হরতনের টেক্কার আরেকটি নাম হচ্ছে Latimar’s Card। বিশপ ল্যাটিমার গির্জার বেদীতে বসে তাসের প্যাক হাতে দিয়ে ধর্ম বিষয়ক উপদেশ বা Sermon প্রচার করতেন। ল্যাটিমার বলতেন, ‘Let us play at Triumph'। Triumph থেকে Trump কথাটা এসেছে। আবার এই হরতনের টেক্কা হচ্ছে ঐশ্বরিক এককত্বের প্রতীক। কারণ, বিশপের বক্তৃতার মর্মার্থ ছিল, 'ঈশ্বরের কাছে সবটা সমর্পণ করতে পারলেই মানুষের আত্মার মুক্তি ঘটে।'
তথ্য সূত্রঃ- Click This Link http://www.satkahan.com; htttps://fahhimasjad.wordpress.com; http://www.kuetlive.com Etc.
তাসের ম্যাজিকঃ- প্রচলিত খেলা গুলো ছাড়াও তাস নিয়ে কিছু মজার মজার ম্যাজিকও আছে। যে ম্যাজিক গুলো দেখিয়ে আপনি দর্শককে সম্পূর্ন বোকা বানাতে পারবেন। তাহলে চলুন এবার সেই সমস্থ মজার ম্যাজিক গুলো সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক।
প্রথম খেলাঃ- এ খেলায় শুধুমাত্র একজন সহযোগীর প্রয়োজন হবে। প্রথমে আপনার সহযোগীকে বলে দিন, তাসের মধ্যে Jack-11, Queen-12, King-13 এবং টেক্কা-1। বাকি তাস গুলোরমানতো তাতে লেখাই আছে। এবার বন্ধুকে মনে মনে বায়ান্নটা তাসের যে কোনটা ভাবতে বলুন। মনেমনে বন্ধুটি যে তাসটি ভাবছে তার পরবর্তি তাসের মান, মনে করা তাসটির সাথে যোগ করতে বলুন । ফলাফলটিকে ৫দিয়ে গুন করতে বলুন । এবার বন্ধুকে তাসের গ্রুপের মান বলুনঃ ক্লাবস-6, ডায়মন্ড-7, হার্টস-8, স্পেডস-9 । সে যে গ্রুপের তাস ধরেছে তার মান গুনফলের সাথে যোগ করতে বলুন। ফলাফলটা জনতে চান। আপনি মনেমনে ঐ ফলাফল থেকে 5 বাদ দিন । এবার বন্ধুর মনে মনে ভাগ তাসটি কি ছিল সেটা বলে দিন। একবার আপনি নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না...?
প্রকৃয়াঃ- ধরুন আপনার বন্ধু মনেমনে ভাবছে হার্টস এর 5 । পরবর্তি কার্ড নাম্বার যোগ করলে হয় 5+6 = 11। 5 দিয়ে গুন করবে 11*5 = 55। কার্ড গ্রুপ মান যোগ হবে (হার্টস - 8) 55+8 = 63 । এবার '63'ফলাফলটি শোনা মাত্র আপনি তা থেকে 5 বাদ দিয়ে দিন 63-5 = 58। এই 58 এর প্রথমসংখাটি হলো আপনার বন্ধুর মনেমনে ধরা কার্ড টি, এবং দ্বিতীয়সংখাটি হলো কার্ডের গ্রুপ।
দ্বিতীয় খেলাঃ- কোন দর্শককে অনুরোধ করুন এক প্যাকেট তাস হতে ১০ এর বেশি যতগুলো ইচ্ছা তাস নিতে। তারপর আপনাকে না জানিয়ে তাস গুলো গুনতে বলুন । যে সংখ্যক তাস হল তার একক ও দশক মনে মনে যোগ করতে বলুন । যোগফলের সমান সংখ্যক তাস, দর্শকের নেয়া তাস হতে বাদ দিতে বলুন। এবার আপনি দর্শকের অবশিষ্ট তাস হাতে নিয়েই বলে দিতে পারবেন তাতে কতগুলো তাস আছে!
এখানে একটা উদহারণ দেওয়া যাক। ধরা যাক আপনাকে না দেখিয়ে দর্শকটি ২১ টি তাস তুলে নিল। এবার সংখ্যাটির একক ও দর্শক যোগ করলে (২ + ১) = ৩ হয়। আপনার কথামত দর্শকটি ৩টি তাস তার নেয়া ২১টি তাস হতে বাদ দিল। তাহলে তাঁর হাতে থাকল ২১ - ৩ = ১৮ টি তাস। আপনি অবশিষ্ট তাসের গোছা হাতে নিয়ে অনায়াসেই বলে দিতে পারবেন যে তাতে মাত্র ১৮টি তাস আছে। আর বলার সাথে সাথে দেখবেন দর্শক হতবাক। শুধু মাত্র তাসের গোছার ওজন দেখে তাসের সংখ্যা নির্ভূল ভাবে বলে দেওয়া ম্যাজিক নয়তো কি বলেন তো?
প্রকৃয়াঃ- এই ম্যাজিকটির কৌশল খুব সোজা। ম্যাজিক দেখানোর আগে আপনাকে শুধু দেখে নিতে হবে ৯টি তাস কতখানি মোটা, ১৮টি তাস কতখানি মোটা, তেমনি ২৭, ৩৬, ও ৪৫ টি তাস কেমন মোটা। এটুকুই তোমাকে একটু অভ্যাস করতে হবে তাহলেই এই ম্যাজিক দেখানো যাবে। না পারলেও যে খুব বেশি অসুবিধা হবে তা কিন্তু নয়, তবে এটা জেনে রাখা ভাল। কারণ ইচ্ছামত যত তাসই দর্শক গ্রহণ করুক, তার একক ও দশকের যোগফলের সংখ্যক তাস রেখে দিলে তাকে “৯, ১৮, ২৭, ৩৬, ৫৪” (৯ এর ঘরের নামতা)- এর যে কোন একটির সংখ্যক তাস অবশ্যই থাকবে। আরো দু’একটি উদাহরণ দেয়া যাক ”
১১ - ২ (১ + ১) = ৯; ১৪ - ৫ (১ + ৪) = ৯; ২০ - ২ (২ + ০) = ১৮; ৩১ - ৪ (৩ + ১) = ২৭; ৪২ - ৬ (৪ + ২) = ৩৬ এবং ৫২ - ৭ (৫ + ২) = ৪৫।
তৃতীয় খেলাঃ- প্রথমে আপনি এক প্যাকেট তাস হতে ১৩টি ইষ্কাপনের তাস বের করে নিন। অন্য যে কোন তাস নিলেও হবে। তবে শর্ত হলো তা এক কার্ডের হতে হবে। এবার তাস গুলো কে একটু সাজিয়ে নিন। মুখে বললেন ও-এন-ই অথ্যাৎ O-N-E এবং প্রতিটি বর্ণের সঙ্গে একটি করে তাস উপর থেকে নিচে রাখলেন। এবার বললেন One (ওয়ান) এবং উপরের তাসটি টেবিলে রেখে দেখালেন সেটি “ইষ্কাপনের টেক্কা”। ইস্কাপনের টেক্কাটি টেবিলেই থাকল। আবার আপনি উপর থেকে একটি তাস নিচে রেখে বললেন 'টি (T)' এর একটি তাস উপর থেকে নিচে রেখে বললেন 'ডব্লিউ (W)' এবং আর একটি তাস উপর থেকে তলায় রেখে বললেন 'ও (O)'। এবার উপরের তাসটি টেবিলে সোজা করে রাখরেন এবং বললেন ‘টু (Two) । দেখা গেল তাসটি ইষ্কাপনের দুই। এভাবে আপনি THREE, FOUR, FIVE, SIX, SEVEN, EIGHT, NINE, TEN, KING, JACK, QUEEN প্রতিটি বানানা করে করে বের করলেন অর্থাৎ T-H-R-E-E প্রতিটি বর্ণ উচ্চারণের সাথে সাথে একটি করে তাস উপর থেকে নিচে রাখলেন। Three বানান শেষ হয়ে গেলে উপরের তাসটি তলায় না রেখে টেবিলের উপর সোজা করে রাখলেন এবং দেখা গেল সেটা ইষ্কাপনের তিন। এভাবে যে তাস গুলো টেবিরে রাখা হচ্ছে সেগুলো টেবিলেই থাকবে। অবশিষ্ট তাসের উপর থেকে আবার একটি করে তাস নিচে রাখবেন এবং একটি করে বর্ণ উচ্চারণ করবেন। বানান সম্পূর্ণ হলে আপনি উপরের তাসটি টেবিলে সোজা করে দেখেন সেটি ঐ তাস যার ফোটার সংখ্যা এতক্ষণ ইংরেজিতে বানান করা হচ্ছিল। এভাবে আপনি ইষ্কাপনের ১৩টি তাস-ই বের করে দেখাতে পারবেন। কি, ম্যাজিকটি মজার না?
প্রকৃয়াঃ- এখন ঢোকা যাক ম্যাজিকটির রহস্যের ভিতর। ম্যাজিকটি একটু কঠিন মনে হলেও কিন্তু খুব বেশি ঝামেলার নয়। যত রহস্য সব ঐ তাস সাজানোর মধ্যে। প্রথমে এক প্যাকেট তাস হতে ১৩টি ইস্কাপনের (বা অন্য যে কোন) তাস বের করে নিন। এবার ১৩টি একই রঙ্গের তাস এক বিশেষ বিন্যাসে সাজাতে হবে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বিন্যাসটি হল 3, 8, 7, A, Q, 6, 4, 2, J, K, 10, 9, 5. অর্থাৎ ১৩টি তাস উপুর করে ধরলে উপরে থাকবে '3 এবং নিচে থাকবে 5' এই হলো কাজের কাজ। তারপর সব সোজা। প্রথমে ONE বানান করে পড়েন এবং প্রতিট বর্ণ উচ্চারণের সময় একটি করে তাস উপর থেকে তলায় রাখেন। তিনটি বর্ণ উচ্চারণের জন্য তিনটি তাস তলায় রেখে উপরের তাসটি টেবিলে রেখে সবাইকে দেখালেন যে সেটি ONE। এভাবে ONE থেকে JACK পর্যন্ত বের করে দেখান। শেষে একটি তাস হাতে থাকবে।
বলা বাহুল্য সেটি হবে বিবি। আশা করি ব্যাপারটি আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আপনারা বুঝতে পারছেন হঠাৎ করে কোথাও এই ম্যাজিকটি দেখাতে হলে সবচেয়ে দরকার বেশি হল ১৩টি তাসের ঐ সিলিয়ালটি মনে রাখা। ঐ সিরিয়ালটি অবশ্যই মুখস্ত রাখতে হবে। কিন্তু আমি আপনাদের মুখস্ত রাখার ব্যাপারে গোপনে (গোপন আর থাকল কৈ?) একটু সাহায্য করতে পারি। নিচের সূত্রটি মনে রাখলেই ঐ সিরিয়ালটি খুব সহজেই বের করতে পারবেন। সূত্রটি হল "387 এক রাজা (A) ছিল। তার একটি বিবি (Q) ছিল। ৬৪ বছর বয়সে তাদের 2 টি সন্তান হয়। একজনের নাম গোলাম (J) আর একজনের নাম সাহেব (K)। এবং 10, 9, 5 সালে তিনি মারা যান।" খেয়াল করে দেখেন সূত্রটি একটি গল্পের অংশের মত। তাই এটি মুখস্ত বা মনে রাখা অধিকতর সোজা। এই সূত্রটি মনে মনে পড়বেন এবং সূত্রের সংখ্যাগুলোর সাথে মিল করে করে তাস সাজাবেন। যেমন 387 সালে এক রাজা এটি পড়ে প্রথমে ৩; ৮; ৭ ফোটার ইষ্কাপনের তাস টেবিলে রাখলেন। রাজার জন্য ইস্কাপণের টেক্কা (A) রেখে (তাস খেলার টেক্কাই রাজা বা ক্ষমতাশালী) এভাবে তাস সাজাবেন। “গল্প-সূত্র” টি মনে রাখলে কখনই সিরিয়াল ভুল হবে না।
এই খেলাটি অন্য আর এক ভাবেও খেলা যায়। সেক্ষেত্রে সূত্রটি একটু ভিন্ন ধরনের। সূত্রটি হলোঃ "একদা রানী চতুর্থ তলায় একা বসিয়া অট্টোহাসি হাসিতে হাসিতে গোলাম দ্বয় সাথে নিয়া পঞ্চ দশ সহ রাজার সহিত তিন ছয় নয় খেলিতেছিল।" তাহলে তাস গুলো সাজাতে হবে ঠিক এভাবেইঃ
"একদা রানী (Q) চতুর্থ (4)তলায় একা (A-টেক্কা) বসিয়া অট্টো(8) হাসি হাসিতে হাসিতে গোলাম (J) দ্বয় (2) সাথে (7) নিয়া পঞ্চ (5) দশ (10) সহ রাজার (K) সহিত তিন (3) ছয় (6) নয় (9) খেলিতেছিল।" এর সিরিয়াল হলো- "Q, 4, A, 8, J, 2, 7, 5, 10, K, 3, 6 এবং 9।" এবার আপনি One-Thirteen ( এক থেকে তের) পর্যন্ত ইংরেজিতে বানান করে যান এবং শেষ কার্ডটি উচ্চারন করে সেটা সামনে আনুন। কি মজা পাইছুইন?
চতুর্থ খেলাঃ- প্রথমে যাকে/যাদেরকে আপনি খেলাটা দেখাবেন তাদের সবাইকে এই মাজিক আর নিয়ম গুলো ভালো করে বোঝিয়ে নিন. এক পাকেট এর ৫২ টি তাস নিবেন। এর K, Q, J প্রত্যেকটির মান হলো ১০। A এর মান হলো ১ এবং ২ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখা যার মান যা আছে তাই। এবার তাকে মান বোঝানোর পর তাস গুলো তার হাতে দিয়ে বলুন তার ইচ্ছে মত ওলট-পালট করে দিতে। তারপর তাস গুলো আপনার হাতে দিলে আপনি সেখান থেকে ২৬ টি তাস (দেখে দেখে ) আলাদা করে এক জায়গায় রেখে দিন। বাকি ২৬ টি তাস তাকে আবার ওলট-পালট করে দিতে বলুন এবং তার বিশ্বাস অর্জনের জন্যে, আবার আপনি সবার উপরের তাস টা দেখে টেবিল এর উপর রাখুন। দেখেন ওটার মান কত।
মনে করুন রাখা তাসটির মান হলো ৮। তাহলে আপনাকে এর পরবর্তী তাস দুটো রাখতে হবে। কারণ শর্ত হলো প্রত্যেক লাইন এ ১০ পূরণ করতে হবে। প্রথমে একটা তাস রাখার পর বাকি আর তাস গুলোর সব মান ১ করে। মনে করুন প্রথমে যেটা রাখলেম ওটা A . মানে হলো এর মান ১। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ৯ টি তাস রাখতে হবে। সেই ৯ টি তাসের মধ্যে Q, ৩, J , ১, ৭ যাই পরুক না কেন সবার মান ১ করে। প্রথম লাইন এ ১০ পর্যন্ত হয়ে গেলে একই ভাবে এর একটি তাস নিয়ে দ্বিতীয় লাইন এ রাখুন। এভাবে ওই লাইন টাকেও ১০ পরন করুন। তারপর তৃতীয় লাইন।
আমাদের ৩ টি লাইন এই ১০ করে মান হয়েছে। উপরের ছবিটি খেয়াল করুন। প্রথমে ৮ পড়েছিল। তাই তারপর আরো ২ টি তাস রেখেছি। মানে ৮, ৯, ১০। তারপর পড়েছিল ৬। তাই আরো ৪ টি তাস রেখেছি। মানে ৬, ৭, ৮, ৯, ১০। এভাবে তৃতীয় লাইন এ প্রথম এই ১০ পরে গেছে। তাই আর রাখতে পারব না। কারণ শর্ত হলো প্রত্যেক লাইন এ ১০ পূরণ করতে হবে। এবার যে তাস গুলো আপনার হাতে বেশি থাকলো সেগুলো আগের যে ২৬ টি তাস আলাদা করে রেখেছিলেন তার উপর রাখুন। এবার তাকে বলুন ৩ লাইন এর সবার উপরের তাসের মান গুলো যোগ করতে।
সে ও আপনি যোগ করে দেখলেন যে ২৪ হলো। এখন আপনি তাকে বলবেন প্রথমে আমি ২৬ টি তাস রেখেছিলাম্র। কোন তাসটা কোথায় ছিল তা তুমি ওলট-পালট করে দিয়েছিলে। তাই আমার নিশ্চই অতগুলো তাস মনে রাখা সম্ভব না, কোনটার আগে পরে কোনটা আছে (আসলেই কিন্তু মনে রাখা সম্ভব না )। তার উপরেও এবার কতগুলো তাস রেখেছি। সেখানে কতগুলো ছিল আমি তাও গুনে রাখিনি। আমাদের যোগ ফল হলো 24। আমি বাকি তাস গুলো থেকে বলতে পারি 24 নাম্বার তাস টা হলো হার্টস এর ৯। আপনি (তাস ) উল্টো থাকা অবস্থায়-ই গোনা শুরু করলেন। 24 নাম্বার তাস টা সত্যি-ই হার্টস এর ৯। এবার তাকে আপনি বলুন উপরের ৩ টি তাসের যোগফল যে 24 হবে সেটা তো আর আমি আগে থেকেই জানতাম না। যোগফল ২২ হলে আমি তোমাকে ২২ নাম্বার তাসটাই বলতে পারতাম। ২৮ হলেও বলতে পারতাম। এমনকি সবার উপরে যদি ১০, ১০, ১০ পড়ে ৩০ হলে সেটাও বলতে পারতাম। এবার ১, ১, ১, মোট ৩ হলে ৩ নাম্বার তাসটা কি তাই বলতাম। সে নিশ্চই অবাক হবে! এভাবে বেশ কয়েকবার করে দেখান। তাহলে সে আরো অবাক হবে! কারণ উপরের তিনটা তাসের যোগফল যা হচ্চে আপনি সেই নাম্বারের তাসটাই বলে দিচ্ছেন।
প্রকৃয়াঃ- সে যতই তাস উলট-পালট করে দিক আপনি যখন ২৬ টি তাস আলাদা করে রাখবেন তখন ২০ নাম্বার তাস টি কি আপনি সেটা দেখে রাখবেন। মনে করুন ২০ নাম্বার তাস টি হলো হার্টস এর ৯। তাস গোনার সময় একটু সাবধানে গুনবেন। ২০ নাম্বার তাস এ এসে কিন্ত থামবেন না। তাহলে কিন্তু সে বুঝে যেতে পারে। একই ভাবে গুনে যান। Just ২০ নাম্বার তাসটা মনে রাখুন। তারপর তাস গুলো উল্টো করে রাখুন।
এবার প্রতি লাইন এ ১০ পূরণ করার পর বাকি তাস গুলো ঐ রাখ ২৬ টা তাসের ওপরে রাখবেন. এবার সবার উপরের ৩ টা তাস যোগ করে যোগফল ১০, ১৬, ২৩, ২৭, ৩০ যাই হোক না কেন আপনার সেই দেখে রাখা হার্টস এর ৯, ঐ তাস টি-ই বের হবে। তাহলে সে নিশ্চই অবাক হবে। কারণ উপরের ৩ টি তাসের যোগফল কত হবে সেটা তো আর আপনি আগে থেকেই জানেন না। অথচ প্রতি বারেই ঠিক ঠিক তাস বলে দিচ্ছেন! এই খেলাটা আরও এক ভাবে করা যায় তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ২০ নাম্বারের যায়গায় ০৮ নং কার্ডটাকে মনে রাখতে হবে। আর বাকি নিয়ম অপরিবর্তিত থাকবে।
পরিশেষে আসুন মজার একটি গুন অংক শিখিঃ- এমন দুইটি সংখ্যা যাদের সাথে আপনার বয়স দিয়ে গুন করলে, একটি মজার গুণফল বের হয়। নীচে সংখ্যা দুইটি এবং যে ভাবে করতে হবে তার একটি ফরমেট দেয়া হল। সংখ্যা দুইটি হলঃ [ ২৫৯ এবং ৩৯ ] যে ভাবে করতে হবেঃ [ ২৫৯×আপনার বয়স×৩৯ = মজার গুলফল ]। কি দারুন মজা তাই না?
ঠিক আছে ভাই এবং বোনেরা এতক্ষন তো শুধু খেলাই দেখলেন এবার কিছু মলম বিক্রি করে নিই! হেই কান পাকা, কানের ঘা, কানের ভিতরে কুটকুট করে। হাটুর......মালা কুটকুট করে আইবুড়ো মেয়েদের দিকে চোখ যায় চলে আসুন দাদা ভাই। ঘাড়ে গর্দানে ব্যাথা মাজা কোমরে ব্যাথা, জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা, পয়েন্টে পয়েন্টে ব্যাথা। যিনি বলেছেন উঠতে গেলে লাঠি আর বসতে গেলে মাটি তিনি আমার ব্লগ লক্ষ করে চলে আসুন............!!
বিঃ দ্রঃ খেলা গুলো কোথায় পেয়েছি তার কোন তথ্যসূত্র উল্লেখ করলাম না। কারন আপনি নিজেই চেষ্টা করে দেখেন খেলা গুলোর মধ্যে কোন রকম ভুল আছে কি না? টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো।
বিশেষ কৃতজ্ঞতায়ঃ- সামু ব্লগেরই সিনিয়র ব্লগার রিকি, জেন রসি এবং শায়মা আপু। কারন উনাদের উৎসাহতেই আমার আজকের এই পোস্ট করা! সুতরাং আমার পক্ষথেকে উনাদেরকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি!