Translate

মা বলেছে

Thursday, June 25, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)

মা বলেছে পুকুর ঘাটে
যাসনে খোকন সোনা,
সাঁতারটা তুই শিখলে পরে
করবোনা যে মানা।
কৃষাণ ছেলে নদীর ঘাটে
নিয়ে গরুর দল,
ডুব সাঁতারে করছে ঘোলা
অথৈ নদীর জল।
দুপুর বেলায় বিষাদ সুরে
রাখাল বাজায় বাঁশি
কিশোরীদের দস্যিপনায়
পায় যে বড় হাসি।
বাড়ির পাশে তাল গাছেতে
বাবুই পাখির বাসা,
নিপুণ হাতে গড়েছে সে
দেখতে বড় খাসা।
বাতাস এলে হেলেদুলে
করে কতো খেলা,
ওপারে তার নীল আকাশে
ভাসে মেঘের ভেলা।
সকাল বেলা কিচির-মিচির
লাগে মধুর শ্রুতি,
চেয়ে দেখি সূর্য মামা
ছড়ায়নি তার দ্যুতি।
হলদে,শ্যামা আর যে কোকিল
গাইছে কতো গান,
পিঠা-পুলির আয়োজনে
ভানছে নতুন ধান।
রূপকথারই গল্প শুনে
জুড়িয়ে যায় প্রাণ,
গল্প শেষে জিরিয়ে দাদু
খাচ্ছে খিলি পান।

কবি নজরুল একদিন

0 মন্তব্য(গুলি)
কবি নজরুল একদিন
কথার প্রসঙ্গে
বলেছিল খোদার বক্ষে
লাতি মারি।
এই কথা বলার পর সারা
কুমিল্লা উত্তাল হয়ে গেল।
মাওলানারা
কাফের ঘোষনা
দিল, আরো বলল যে
মানুষ খোদার বুকে
লাতি মারতে পারে সেই
বেয়াদবের
জায়গা এই
দেশে হবেনা।
কবিকে বলল এর
জবাব দিতে হবে।
কবি বললেন,ঠিক আছে আমি
জবাব
দিব।আপনারা একটি
সমাবেশের
আয়োজন করেন।
হাজার হাজার মানুষ
উপস্হিত হল। কবি
আসলেন,সবাই
কবিকে বেইজ্জত
করার প্রস্তুতি
সম্পন্ন করল।
কবি মঞ্চে উঠে শুধু
দুইটি কথা বললেন।
তিনি বললেন,
খোদা নিরাকার।
যে খোদার বুক আছে
সেই খোদার
বুকে লাতি মারতে
বলেছি।
কবি দেব দেবীকে
কথাটি বুঝাতে
চেয়েছেন।
দুধ বিক্রি করে চা
খাওয়া জনগণ বেটকায়
বেটকায়
নুরাণী জর্দা
দিয়ে পান খাওয়া
মাওলানারা
বুঝ পেয়ে গেল।
না বুঝে চিল্লায়, এককাপ
চা
তে
বিক্রি হয় একমাত্র
আমাদের
বাঙ্গালীরা।
এক এলাকায় এক লোকের খুব
জর উঠেছে।ডাক্তার
সেলাইন দিল
একটু সুস্থ হওয়ার পর
রিক্সা করে
কাপতে কাপতে বাড়ী
আসার পথে
দেখতেছে অনেক লোক
একজন
চোরকে মারতেছে। এই
রোগী
অনেক কষ্ট করে রিক্সা
থেকে
নেমে অনেক জ্যামের
মধ্যে ডুকে ঐ
চোরকে একটি ঘুসি
দিল।
রিক্সাওয়ালা বলল,আপনি
ওনাকে
কেন মারলেন?
রোগী বলল আমি
কিছুই জানিনা।
সবাই মারছে তাই
আমিও মেরেছি।
প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে এত
কষ্ট করে এই
একটি ঘুসি মারার কি
দরকার ছিল?
পরে দেখা গেল সে আসলে
চোর
নয়।h

যত্নহীন নীরব রাত্রিগুলো ।

Tuesday, June 23, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)

আজ সারারাত এক টুকরো সাদা কাগজ
নিয়ে বসে থাকলাম,
কলম ঝিমুচ্ছিল হাতের দুই আঙ্গুলের
ভাঁজে ;
কেউ আসেনি দুটো লাইন দিয়ে
যেতে, নিঃসঙ্গ রাত গুজারি ।
এমনি ভাবে পেছনে হারিয়ে গেছে
খণ্ড খণ্ড বহু চাঁদ,
হারিয়ে গেছে রাতের কিছু সুপ্ত
আঁধার, যেখানে জোনাক
জ্বলেছিল,
জেগে থাকা মনের রঙ্গিন আকাশ
অদেখায় ভুগেছে, হাজারো স্বপ্ন ।
এভাবে আর কতকাল ? অসহায় রাত নীরব
প্রশ্নে ভোগে যখন-
আমিও ভাবি, এভাবে আর কতকাল ?
কিন্তু, কিছু সান্ত্বনার বাণী এখনো
আগলে রেখেছে রাতগুলোর
ভারী নিঃশ্বাসকে- অতি যত্নে ।
তাই আজও খেয়ালে বসে থাকতে পারি
আমি, নিরবচ্ছিন্ন রাততে টুকরো
টুকরো করে ।
আবার ভেবো না এই আমার ক্ষমতা,
অথবা ভেবো এই আমার হয়তো
বেঁচে থাকা ।

চাঁদনি রাতে

Monday, June 22, 2015

2 মন্তব্য(গুলি)
মায়াবী এক চাঁদনি রাতে খুজি আমি
স্মৃতির
ক্যানভাসে। আশেপাশে সেই পরিচিত
মুখ
খুজি ,যার চোখের তারায়
আমার রাতগুলি হারানোর কথা
। অতঃপর পাহাড়
চূড়ায় চাঁদনী রাতে
ছড়ানো চাঁদের আলোর
মাঝে তাকে খুজি।। চেয়ে দেখি
বাক্যহীন ধুসর ক্যানভাসে এক অচেনা
ছায়া, আমি সেই চোখ দুটোকে আমার
মনের ক্যানভাসে রং তুলি দিয়ে একে
ফেলেছি।তার হাসি, তার দুটো
মায়াবী চোখ আমার ঘুম নষ্ট করে।
নির্ঘুম রাতে আমার সাথে তার জেগে
থাকে
.. একলা আমি বহুদূর পথ পাড়ি দিয়ে
একটু থামি, 
.... চাঁদনী রাতে চাঁদের
সাথে দিহান খেলা করে জোনাক
জ্বলিছে,
এইখানে আমি সারা রাত জাগি
জীবনের সংঘাতে।
মেঘলা
আকাশ মায়াবী চাঁদনী
রাতের রুপালী আলোয় ভেসে
উঠে এক চেনা মুখ ...
খুঁজছি আমি সেই তাকে যে কোন
এক বৃষ্টিভেজা চাঁদনী রাতে আমার
সাথী হবে....

সে তারা ভরা

0 মন্তব্য(গুলি)
সে তারা ভরা রাতে
আমি পারিনি বোঝাতে
তোমাকে আমার মনের ব্যাথা
তুমিতো বলেছ শুধু
তোমার সুখের কথা।
আমি অনেক পথ ঘুরে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে অন্ধকারে
তোমার পথের দেখা পেয়েছি
আর হৃদয়ের মাঝে
তোমায় কাছে আমি চেয়েছি
আজও হলোনা বলা
আমার না বলা কথা।
আমি অনেক ব্যাথা সয়ে
ছল ছল চোখের জ্বলে
তোমার চলে যাওয়া দেখেছি
আর রাতেরও আঁধারে
মনের দুঃখে আমি কেঁদেছি
আজও হলোনা বলা
আমার না বলা কথা।

ভালবাসার উক্তি

0 মন্তব্য(গুলি)
যদি একটা ছেলে,
একটি মেয়ের কাছে প্রতারিত
হবার পরও তাকে ভালোবাসে তার
মানে এই নয় যে সে একগুঁয়ে
♡♡
যদি একটা ছেলে,
একটি মেয়ের জন্য বিষণ্ণ থাকে
তার মানে এই নয় যে সে অভাগা
♡♡
যদি একটা ছেলে,
সর্বদা একটি মেয়েকে নিয়েই
স্বপ্ন দেখে তার মানে এই নয়
যে সে তার প্রতি নেশাগ্রস্ত
♡♡
যদি একটা ছেলে,
তার ভালোবাসার মানুষটির
জন্য পাগলামি করে তার নামে
এই নয় যে তার মস্তিস্ক খারাপ
হয়েছে।
♡♡
কিন্তু উপরের সব কিছুই বোঝায়
যে সেই ছেলেটি , মেয়েটিকে
কি পরিমান ভালোবাসে। আর সেই
ছেলেটি ঐ মেয়ে ছাড়া আর
কিছুই বোঝে না।। ♡♡♡♡

শুন্যতা

0 মন্তব্য(গুলি)

দুনিয়াতে খুব অল্প
কিছু মানুষ আছে,
যারা আসলে আলাদা,
সারাজীবনেও
তারা কারো আপন
হতে পারে না, তাদের
কেউই বুঝে না, তাদের সব
থেকেও
আসলে
শুন্যতা ছাড়া
থাকে না,
তারা একা আসে,
একা ঘুরে, একাই
থাকে,
একাই চলে যায় !!!!!!

বাস কি আমায় ভালো

0 মন্তব্য(গুলি)

সুধুই তাকিয়ে থাকা
মন থেকে কাছে ডাকা
ভালোবাসার কথা বলে
মন টাকে দিয়ে খুলে
হাটি চল এক সাথে পাশা
পাশী
সকল ভয় কে দূরে ফেলে
বল ভালোবাসি
পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গলে
স্বপ্ন কে হারাবো না
নিরবতা কে ভেঙ্গে
জানি কভু পারবোনা বলতে
তোমায়
ভালোবাসি আনেক বেশি
বাস কি আমায়?

যে সপ্ন আমরা

Sunday, June 21, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)
ঘুমন্ত অবস্থায় সপ্ন ভেঙে গেলে
কষ্ট তেমন হয় না। কিন্তু জেগে
থেকে
যে সপ্ন আমরা সাজাই তা ভেঙে
গেলে
অনেক সময় জিবন টাই নষ্ট হয়ে যায়।

২২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হয় আইসল্যান্ডে

Friday, June 19, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)

উত্তর ইউরোপের একটি দ্বীপরাষ্ট্র
আইসল্যান্ড। এর মোট জনসংখ্যা
৩,২৩,০০২ জন। এরমধ্যে মাত্র ৭৭০ জন
মুসলমান ৷ তবে এই ৭৭০ জনের মধ্যে
যাঁরা পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম
সাধনা করেন, তাঁরা এক দিক থেকে
বিশ্বের আর সমস্ত ধর্মপ্রাণ
মুসলমানকে ছাড়িয়ে যান ৷
আইসল্যান্ডে এবার সেহরি খেতে
হচ্ছে রাত দু’টোয় আর ইফতার হয়
পরের দিন রাত ১২ টায় ৷ সেহরি
থেকে ইফতার পর্যন্ত কত ঘণ্টা
হলো? ২২ ঘণ্টা!
সুইডেন- ২০ ঘণ্টা : খুব গরমের মধ্যে
রোজা হলে সুইডেনের মুসলমানদেরও
কষ্টের সীমা থাকে না ৷ দেশটির ৫
লাখ মুসলমানের মধ্যে যাঁরা রোজা
রাখেন, তাঁদের ইফতারের মাত্র
চার ঘণ্টা পরই সেহরি খেতে হয় ৷
উল্টো দিক থেকে ভাবলে কষ্টটা
বুঝা যায় ৷ সুইডেনের মুসলমানদের
অনেক দিন সেহরির ২০ ঘণ্টা পর
ইফতার খেতে হয় ৷
আলাস্কা- ১৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট :
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ৩ হাজার
মুসলমানের মধ্যে কেউ কেউ
আজকাল সৌদি আরবের সঙ্গে
মিলিয়ে সেহরি আর ইফতার করতে
শুরু করেছেন ৷ গ্রীষ্মকালে ভীষণ
গরম থাকে সেখানে ৷ তার ওপর
কোনো কোনোদিন সূর্যোদয়ের ১৯
ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সূর্য ডোবে ৷
একেতো তীব্র গরম, তার উপর এত
লম্বা সময় ধরে রোজা রাখা!
জার্মানি- ১৯ ঘণ্টা : রমজান
মাসের এই সময়ে দিন খুব বড় বলে
জার্মানির মুসলমানদেরও রোজা
রাখতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ৷ এ বছর
জার্মানিতে সব ধর্মপ্রাণ
মুসলমানকে সেহরি খেতে হচ্ছে
রাত সাড়ে তিনটায় আর ইফতার রাত
দশটায় ৷
ইংল্যান্ড- ১৮ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট :
ইংল্যান্ডে সেহরি থেকে
ইফতারের সময়ের পার্থক্য ১৮ ঘণ্টা
৫৫ মিনিট ৷ রমজান শুরুর আগেই তাই
মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন
নামের একটি সংগঠন এত দীর্ঘ
সময়ের রোজা রাখার আগে ভেবে
দেখতে বলেছে ৷ সংগঠনটির
আশঙ্কা, এত লম্বা সময় রোজা
রাখলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে
পারেন ৷ বিশেষ করে ডায়বেটিসে
আক্রান্তদের প্রাণহানির শঙ্কাও
দেখা দিতে পারে ৷ ব্রিটেনে এখন
প্রায় ২৭ লক্ষ মুসলমান আছে ৷ এর
মধ্যে ৩ লক্ষ ২৫ হাজারই
ডায়বেটিসে আক্রান্ত ৷
তুরস্ক- সাড়ে ১৭ ঘণ্টা : মুসলিম
প্রধান দেশ তুরস্কেও গরমকালে
রোজা রাখতে হয় খুব কষ্ট করে ৷
এবার সেহরির প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা
পর ইফতার করতে হচ্ছে ধর্মপ্রাণ
মুসলমানদের ৷
ক্যানাডা- ১৭ দশমিক ৭ : এখন প্রায়
১০ লক্ষ মুসলমান আছে ক্যানাডায় ৷
সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস
টরন্টোতে ৷ এবার কোনো কোনো
দিন সেহরির প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর
ইফতারি খেতে হবে তাঁদের ৷

স্বপ্ন কন্যা

Monday, June 15, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)
এখন অনেক রাত, ঘুমিয়ে গেছে চারিপাশ।
কোলাহল থেমে গেছে ও
নিস্তব্ধ
হয়ে গেছে পুরো চারপাশ ।আমি একা একা, ঘরে আছে আর একটা প্রাণী , মাঝে
মাঝে সে ঠিক ঠিক শব্দে জানিয়ে দিচ্ছে সে ও আছে আমার সাথে। এ যেন অভিমানী মনের অনেক
কথা বলতে চেয়েও পারছে না আর,
জমে আছে শত বেদনা ও ক্ষোভ

চিলেকোঠায় বাস অভিমানি বালকের ।
অভিমান অনেক এই কারনে একাই
চিলেকোঠায়। ঘুম আসছে না, তাই আকাশে তাকিয়ে কাটে সারা রাত । আজি চারপাশ
নিস্তব্ধতায় আছন্ন দিয়েছে ভিন্ন
মাত্রা,
সাথে আকাশের একটু বেশি সৌন্দর্য
যেন আজ সেজেছে আপন
রুপে।
সাদা মেঘের গুচ্ছ গুলো ছুটে
বেড়াচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্য
প্রান্তে, এই অন্ধকার আকাশের
নীল
বয়ে বেড়াচ্ছে তার আপন মহিমায় ।
নীল এর সাথে মেঘের সাদা যে
পূর্ণ এক ছবি, কোন ক্যানভাসে আঁকা
ছবি নয়, এটা তো আজ রাতের আকাশ

আকাশের রঙ টা হঠাৎ করেই ভরিয়ে
দিয়ে গেলো অভিমানী বালকের মনে,
আপন মনে তাই তো গান গাওয় সে।
আকাশের মেঘ গুলোও যেন কি
বলতে চাচ্ছে, অভাক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে থাকেসে । অনেকটা সময়
পাড় হলো এখন মনে হয় বুজতে
পাড়ছে সে আকাশের মেঘ গুলো
যেন তাঁকে মনে করিয়ে দিচ্ছে
পুরনো সকল সৃতি, মনে করিয়ে
দিচ্ছে স্বপ্ন কন্যার কথা, যার জন্য,
যাকে পাবার আশায় এখনও একা অভিমানি
বালক
“একাকী মনের কথা বলা,
তবে এই একাকীত্ব কাদায় না তাঁকে,
কেননা এই একাকীত্ব নতুন কিছু নয়
অভিমানী বালকের জীবনে,অনেক
আগেই স্বপ্ন কন্যা কে স্বপ্ন
দেখেছিল সে, তবে না এখনও
সেই
স্বপ্নতেই তার বাস বাস্তবে আসেনি
আজো । আর কি আসবে এই স্বপ্ন
হয়ে আমার জীবনে সত্যি ? হে
আল্লাহ
চেয়েছিলাম আমি তোমার কাছে
একাকীত্ব থেকে মুক্তি। এখন শুধু তাঁকে দেখা হয়ছে তার
কাছা কাছি যাওয়া শুধুই অন্যতে তার ছায়া
খুজে ফেরা, হুম ফলাফল ও তাই একই
রকম,
শূন্যতাতেই ফিরে আসা।
নিজের অজানাতেই যেন আজ সব
হচ্ছে। রাতের আকাশ দেখা,
অবচেতন মনে গান গাওয়া, আর শুধুই স্বপ্ন কন্যার কথা
ভাবা।
জীবনের এই প্রান্তে এসে
ব্যাপারটা
যেন বুজতে আর একটুও বাকি নেই,
একাকীত্বের জগতে একা, একক
মহিমায় উদ্ভাসিত মহান একজন প্রতিকৃত।
হা
হা হা হা হাসি যেন আর থামছে না এই
ভেবে যে, জগৎ সেরা মহান
হয়েছে আজ তবে তা নিরবতা ও
একাকীত্বের । লম্বা নিঃশ্বাস ছেড়ে
আবার ভাবতে শুরু করে অভিমানি বালক।
কখনোই কি হবে না তার
চোখে চোখ রাখা??
“শুধুই চেয়ে থাকে তোমার পাণে
শুধু চায় মন কি, তা জানে
অপলক তোমার চাওয়া
হতে পারতো ভালোবাসার ছোঁয়া।
পেয়েছে মনে ভয় অজানায়
ভালোলাগাতেই ভালোবাসা
না বলাতেই মন মানা”
অনেক দিন তাকিয়ে থাকার পরও হয়নি
সাহস বলতে মনের কথা, রয়ে
গেলো মনের কথা মনেই, হয়ে
রইলো না বলা ব্যথা। কেটে যায় মাস,
মাসে মাসে বছর, মৌনতা ভেঙ্গে
হয়নি
যেন তাঁকে বলা ছোট ওই কথা।
মনে
মনে গড়েছিল নতুন আশার বসবাস।কিন্তু
অভিমানি বালক এর নীরবতা, কম কথা
বলাই
আজও স্বপ্ন হয়ে রয়েছে একটি সুন্দর
স্বপ্ন । এখনো হয়নি মিলন ভালোবাসার
সাথে, একাকীত্তের পথ হয়েছে
সুগম তাই হাটা সেই পুরানো পথে।
মেঘেদের সরে সরে যাওয়াতে
ফাকা আকাশ, চাদের আলো
ভেঙ্গে
দিল স্বপ্ন কন্যার ভাবনাকে। ছাদের
এপাশ ওপাশ পায়চারী করে
বেড়াচ্ছে
অভিমানি বালক, তার মনের বিষণ্ণতা
তাঁকে
কাঁদাচ্ছে, তার ওই চোখের পাণে
তাকিয়ে দেখা হয়নি সেইখানে জল
জমেছিল কিনা। আবারো পায়চারী,
আকাশে উজ্জ্বল তাঁরাটি ঠিক মাথার
উপরে তাঁকে ডাকছে নিকট
অতীতে, করা নেরে যাচ্ছে তার
চারপাশে প্রথম জীবনের নতুন করে
দেখা স্বপ্নতে। এবারেও চাঞ্চল্য
দেখে স্বপ্ন কন্যা ভেবে ভুল
করা।
পাবার আকুলতায় পাগল অভিমানি বালক নতুন
করে স্বপ্ন দেখে, নিজের
মনের
সকল জায়গা মনে প্রান সপে দিতে চায়
তার স্বপ্ন কন্যাকে।
আর মনে মনে বলে, এই মনটাকে ধুলা মাখা পথ করেছি তুমি
হাঁটবে বলে, বেলি ফুলের গন্ধে
মিশিয়ে দিয়েছি তুমি ভালবাসবে বলে।
বৃষ্টির বর্ষণ হবো, তোমায় ছুয়ে
যাবো তাই, বিকালের মিষ্টি রোদ
হবো তোমার ওই মিষ্টি হাসির সাথে
খেলা করবো বলে, এখনো অপেক্ষা করতে চাই
শুধু
একবার ভালোবাসি শুনবো বলে।

স্বপ্ন ও মানুষ

0 মন্তব্য(গুলি)
স্বপ্ননিয়ে বাচে মানুষ
উড়ায় ঘুড়ি রঙ্গিন ফানুস ,
নতুন নতুন স্বপ্ন বুনে
মিথ্যে আশায় প্রহর গুনে।
স্বপ্ন সুদু স্বপ্ন হয়ে
ধরা দিবে দিবে করে
দেয় নি ধরা আজও এসে
চাপা অভিমানের শেষে।
স্বপ্ন ঘোর ভেঙ্গে জেগে
সাদা কালো রঙে মেখে
দীর্ঘশ্বাস কে সঙ্গী করে
স্বপ্ন ছিল মুচকি হেসে
স্বপ্ন ছেড়ে চোখ টি মেলে
বাঁচব আবার নতুন করে।
কালের হাওয়ায় পাল তুলে
নতুন করে স্বপ্ন ভরে
আবার করা যাত্রা শেষে
নতুন কোন স্বপ্নের দেশে।
না বুনে সপ্নের জাল,
না তুলে স্বপ্নের তরী
কি আছে বা করার,
স্বপ্ন হীন জীবনে যে প্রতিদিনই
মরি
স্বপ্ন ভাঙ্গেই তোঁ নতুন
করে
গড়ার জন্য বাঁচতে নতুন করে
স্বপ্ন আছে বলেই মানুষ
বাঁচে,
বাঁচে স্বপ্ন দেখার
তরে।

“সুখ দুঃখের বসত ঘর"

0 মন্তব্য(গুলি)
সুখের শহরে দুঃখের বসবাস
শত্রুতা নেই আছে ভালোবাসার
আবাস।
একজন যদি করে আপন তোমায়
আরেকজন থাকে আরও ভালোবাসার
অপেক্ষায় ।
সুখ যদি দিয়ে যায় তোমায় ছোঁয়া
দুঃখ আসে পিছু পিছু বাড়াতে সুখের
মায়া ।
যদি থাকে অপেক্ষায় সুখের
আশাতে
থেকে থেকে দুঃখ যেন চায়
বারে বারে কাঁদাতে ।
আবার করতে চাইলে দুঃখকে আপন
সর্বদা জীবনের
সুখ কে দেখিয়ে পালায় দুঃখও তা যে
খুব ক্ষণিকের ।
সুখ সুখ করে তাই কেঁদো নাকো
আর
দুঃখের ঘরেই যে সুখের বসত নয়
তোঁ পালাবার ।

“ব্যর্থ মানব”

0 মন্তব্য(গুলি)
বলিতে পারিনি আজও তোমায়
ভালোবাসি
চাইলে তুমি এনে দেবো স্বর্গ
লোকের খুশি ,
চাইনি তোমার মন ভাঙতে চাইনি সুখের
দেখা
রয়ে যাব একাকীত্বের মাঝে আমি
চীর একা ।
দূর হতে যাব ভালোবেসে
তোমায়
জানবে না কখনো জানি বুজবেও না
আমায়,
পারবোনা ভেঙ্গে দিতে তোমার
সুখের আশা
বুজাতেও চাইবো না মনের
গভীরতা।
শূন্যতায় বসত আমার আমি শূন্য মানব
বলে সবাই আজ তাই আমায়
শুধুই ব্যর্থ
মানব ।

“তোমার -ওই- হাঁসি”

0 মন্তব্য(গুলি)
তুমি হাসলে ছড়িয়ে কিরন সূর্য বিলায়
আলো
ছন্দে তোমার জগৎ নাচে ছড়িয়ে
পেখম যত।
মুক্তো ঝড়া ওই হাঁসিতে মুগ্ধ করে
মন
ওই হাঁসিতে ছাড়া যাবে সাত রাজারও ধন।
নরকে পুড়েও তবু খুশি ছেড়ে সর্গ
সুখ
যদি দেখি শুধু তোমার হাঁসি মাখা ওই মুখ।
ভালোবাসায় একবার যদি হাসো
পুস্পের হাঁসি
নরকেও বসে বাজাবো তব তিপ্ত
সুখের বাঁশি।
সর্গ,মর্ত পাতাল ভুবন সদায় যা খুজি
ভালোবাসা আর তোমার ওই হাঁসি
তুমি আমার সর্গ সুখের প্রান পাখি
সুহাসিনি তোমায় ভালবাসি।

“স্বপ্ন কন্যার খোঁজে”

0 মন্তব্য(গুলি)
মধ্য রাত, ঘুমিয়ে গেছে চারিপাশের
কোলাহল থেমে গেছে ও নিস্তব্ধ
হয়ে গেছে পুরো শহর। মাঝে
মাঝে দুই একটা গাড়ির শব্দে আর নিয়ন
আলোয় যেন এখনও জীবিত আছে
শহর । এ যেন নির্বাক মনের অনেক
কথা বলতে চেয়েও পারছে না আর,
জমে আছে শত বেদনা ও ক্ষোভ ।
চিলেকোঠায় বাস নির্বাক বালকের ।
ঢাকাতে একাই এই কারনে চিলেকোঠার
ছোট একটি রুমে থাকা হয়, অনিদ্রায় তাই
ছাদে কাটে সারা রাত । আজি শহরের
নিস্তব্ধতায় আছন্ন দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা
সাথে আকাশের একটু বেশি সৌন্দর্য
যেন আজ সেজেছে আপন রুপে।
সাদা মেঘের গুচ্ছ গুলো ছুটে
বেড়াচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্য
প্রান্তে, এই অন্ধকার আকাশের নীল
বয়ে বেড়াচ্ছে তার আপন মহিমায় ।
নীল এর সাথে মেঘের সাদা যে
পূর্ণ এক ছবি, কোন ক্যানভাসে আঁকা
ছবি নয়, এটা তো আজ রাতের আকাশ ।
আকাশের রঙ টা হঠাৎ করেই ভরিয়ে
দিয়ে গেলো নির্বাক বালকের মন,
আপন মনে তাই তো গান গাওয়া
আকাশের মেঘ গুলোও যেন কি
বলতে চাচ্ছে, নির্বাক দৃষ্টিতে
তাইতো তাকিয়ে থাকা । অনেকটা সময়
পাড় হলো এখন মনে হয় বুজতে
পাড়ছে সে আকাশের মেঘ গুলো
যেন তাঁকে মনে করিয়ে দিচ্ছে
পুরনো সকল সৃতি, মনে করিয়ে
দিচ্ছে স্বপ্ন কন্যার কথা, যার জন্য,
যাকে পাবার আশায় এখনও একা নির্বাক
বালক
.
“একাকী গান গাওয়া
একাকী মনের কথা বলা
একাকী পথ চলা
একাকীত্বের ভাবনায় কম্পমান স্বপ্ন
তাই একা কি স্বপ্ন দেখা
সাদাকালো স্বপ্ন একাই রঙিন করা
একাকী জীবনে একাকীত্বের
মাজে
জীবনের অন্বেষণ করা”।
জীবনের অন্বেষণে এইতো
আজ এত দূরে একা, একাকী গান গাওয়া ।
তবে এই একাকীত্ব কাদায় না তাঁকে,
কেননা এই একাকীত্ব নতুন কিছু নয়
নির্বাক বালকের জীবনে,অনেক
আগেই স্বপ্ন কন্যা কে স্বপ্ন
দেখেছিল সে, তবে না এখনও সেই
স্বপ্নতেই তার বাস বাস্তবে আশেনি
আজো । আর কি আসবে এই স্বপ্ন
হয়ে আমার জীবনে সত্যি ? হে বিধাতা
চেয়েছিলাম আমি তোমার কাছে
একাকীত্ব থেকে মুক্তি।
জীবনের কঠিন বাস্তবতায় বারে বারে
চেয়ে স্বপ্ন কন্যার দর্শন হয়ে
উঠেনি এখনও তাঁকে দেখা হয়নি তার
কাছা কাছি যাওয়া শুধুই অন্যতে তার ছায়া
খুজে ফেরা, হুম ফলাফল ও তাই একই
রকম,
শূন্যতাতেই ফিরে আসা।
নিজের অজানাতেই যেন আজ সব
হচ্ছে। রাতের আকাশ দেখা,
অবচেতন মনে গান গাওয়া, পুরানো সৃতি
মনে করা, আর শুধুই স্বপ্ন কন্যার কথা
ভাবা। যেদিন জন্মেছিল এই ধরাতে
সেইদিন এই লিখা হয়েছিল তার
জন্মপঞ্জীতে হবে তুমি সেরা
কোন এক জগৎ-এ আপন যোগ্যতায় ।
জীবনের এই প্রান্তে এসে ব্যাপারটা
যেন বুজতে আর একটুও বাকি নেই,
একাকীত্বের জগতে একা, একক
মহিমায় উদ্ভাসিত মহান একজন প্রতিকৃত। হা
হা হা হা হাসি যেন আর থামছে না এই
ভেবে যে, জগৎ সেরা মহান
হয়েছে আজ তবে তা নিরবতা ও
একাকীত্বের । লম্বা নিঃশ্বাস ছেড়ে
আবার ভাবতে শুরু করে নির্বাক বালক।
কেন যেন আজ সৃতির দরজায় করা
নারতে ইচ্ছা করছে, তার আপন মনে
বলছে “কেন বারে বারে পুরনো
সৃতি এসে কড়া নাড়ে মনের জানালায়,
কেন মন বারে বারে পিছনে ফিরে
যায়, তোমাদের কেন মন আজ আবার
কাছে চায়, জানি তোমরা আজ শুধুই ছবি
হয়ে আছো, কিন্তু যারা আছে তারা
কেন আজ এত দূরে, কেন কাছে
চেয়েও দেখা পাই না, মন তো মানে
না কিছুতেই, তোমাদের ডাক যে
আজও শুনতে পাই কানে, কবে হবে
দেখা!
কখনোই কি পাবো না তোমার
দেখা
তবে কি এই ছিল বিধির লিখা
হৃদয়ে জমানো যত আশা সবই
মিলে কি কারো কখনোই
কে হবে সেই পাখী
উড়বে ডানা মেলে নাম ধরে ডাকি ।
কিশোর বয়সে ও নির্বাক বালক নির্বাক,
চাঞ্চল্য কখনও তাঁকে ছুতেঁ পারেনি
তাই সদা সর্বদা চাঞ্চল্যতে আকৃষ্ট
সে, তেমনি একজনকে দেখে
থেমে যায় তার সব বলা, নির্বাক যেন
আরও নিরবতার গভীরে চলে যায় ।
“শুধুই চেয়ে থাকি তোমার পাণে
তোমায় শুধু চায় মন কি তা জানে
অপলক তোমার চাওয়া
হতে পারতো ভালোবাসার ছোঁয়া
পেয়েছে মন ভয় অজানায়
ভালোলাগাতেই ভালোবাসা
না বলাতেই মন মানা”
অনেক দিন তাকিয়ে থাকার পরও হয়নি
সাহস বলতে মনের কথা, রয়ে
গেলো মনের কথা মনেই, হয়ে
রইলো না বলা ব্যথা। কেটে যায় মাস,
মাসে মাসে বছর, মৌনতা ভেঙ্গে হয়নি
যেন তাঁকে বলা ছোট ওই কথা।
জীবনের প্রয়োজনে স্বপ্ন কন্যা
থেকে নির্বাক আনেক দূরে তখন
অনাখাঙ্খিত ভাবেই জানতে পারলো ওই
অপলক চেয়ে থাকা ছিল নির্বাক
বালকের প্রতি ভালোলাগার, মনে
মনে গড়েছিল নতুন আশার বসবাস।
নির্বাক বালক ছিল তার স্বপ্ন পুরুষ কিন্তু
নির্বাক বালক এর নীরবতা, কম কথা বলাই
শেষ করে দিয়েছে একটি সুন্দর
স্বপ্নকে । হয়নি মিলন ভালোবাসার
সাথে, একাকীত্তের পথ হয়েছে
সুগম তাই হাটা সেই পুরানো পথে।
মেঘেদের সরে সরে যাওয়াতে
ফাকা আকাশ, চাদের আলো ভেঙ্গে
দিল স্বপ্ন কন্যার ভাবনাকে। ছাদের
এপাশ ওপাশ পায়চারী করে বেড়াচ্ছে
নির্বাক বালক, তার মনের বিষণ্ণতা তাঁকে
কাঁদাচ্ছে, তার ওই চোখের পাণে
তাকিয়ে দেখা হয়নি সেইখানে জল
জমেছিল কিনা। আবারো পায়চারী,
আকাশে উজ্জ্বল তাঁরাটি ঠিক মাথার
উপরে তাঁকে ডাকছে নিকট
অতীতে, করা নেরে যাচ্ছে তার
শহুরে প্রথম জীবনের নতুন করে
দেখা স্বপ্নতে। এবারেও চাঞ্চল্য
দেখে স্বপ্ন কন্যা ভেবে ভুল করা।
পাবার আকুলতায় পাগল নির্বাক বালক নতুন
করে স্বপ্ন দেখে, নিজের মনের
সকল জায়গা মন, প্রান সপে দিতে চায়
তার নতুন করে পাওয়া স্বপ্ন কন্যাকে।
এই মনটাকে ধুলা মাখা পথ করেছি তুমি
হাঁটবে বলে, বেলি ফুলের গন্ধে
মিশিয়ে দিয়েছি তমি ভালবাসবে বলে।
বৃষ্টির বর্ষণ হবো, তোমায় ছুয়ে
যাবো তাই, বিকালের মিষ্টি রোদ
হবো তোমার ওই মিষ্টি হাসির সাথে
খেলা করবো বলে, মৃত্যু দূত কে
ফিরিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে চাই শুধু
একবার ভালোবাসি শুনবো বলে। নানান
নামে ডাকছিল একে অপরকে,
ভালোবাসার অপার জগতে যেন ভাসছিল
দুজন, নির্বাক বালক তার ভালোবাসা যেন
উজাড় করে দিতে ব্যস্ত।
“ইচ্ছে করে তন, মন, ধ্যান, জ্ঞান
দেই তোমার চরণে সপে
ভয় হয় যদি তুমি না লও গ্রহন করে
পারবোনা এই ফিরে আসার জ্বালা
সইতে
তাইতো তন মন সপেও চাইনা
কইতে”।
ভালোবাসি শুনতে অনেক সময়
লেগেছে তার, ভুল ভেঙ্গে গিয়ে
নির্বাক বুজেছে ভুল হয়েছে আবার,
তার স্বপ্ন কন্যা যে আস্তার জন্য
বাস্তবতাকে বেছে নিয়ে চলে
গেছে বহু দূরে। খুজে নিয়েছে
তার আপন জায়গা। সে তো স্বপ্ন
কন্যার স্বপ্ন পুরুষ!
কিভাবে সহে এই যাতনা, শেষ হয়ে
গেছে সকল বাসনা, নেই কোন
স্বপ্ন, কোন আশা আর ভালোবাসা, এ
যে ছিল শুধুই ছলনা। আবারো তাই সেই
পুরানো পথে হাটা, একাকীত্বের
পথে,পুরানো পথে তাই আবার নতুন
করে চলা। “আশা ভঙ্গ নির্বাক!”
ভেঙ্গে গেছে আরও একটি স্বপ্ন,
হারানো আরেকবার না পাওয়ার বিষণ্ণতায়।
আজ তাই বড় একা নিরব নিস্তব্ধ ঘুমন্ত
শহরের ন্যায়, একা নিরব মৌন ব্রত পালন
কারি পাহাড়ের ন্যায়। তাইতো আবার হাটা
সেই পুরানো পথে।
“একাকী পথ চলা শিখে নিয়েছি
তুমি আসবে না জেনে পাশাপাশি চলার
স্বপ্ন কে ভুলিয়ে দিয়েছি
শূন্যতাকে সাথী করে
দিগন্তহীন পথে চলেছি
তোমাকে সাথে নিয়ে যাব বলে
দিগন্তে রঙধনু রাঙিয়ে রেখেছি
রঙিন স্বপ্ন পড়েছে ধূসর মেঘে
ডাকা
রঙ চরিয়ে রঙিন নয় স্বপ্ন
তাই সাধা কালো ক্যানভাসে আকা”।
এইখানেই থামতে চায় নির্বাক বালক,
জীবনের না পাওয়া যন্ত্রণা আর চায়না
সে সরণ করতে। এর পরে ঘটে
যাওয়া নিষ্ঠুর সত্যকে নিয়ে বন্ধুদের
কাছে নিয়ে একাকীত্বের পথে
আবার ফিরে আসতে। আর স্বপ্ন কন্যা
তো তার স্বপ্নতেই বসবাস করে।
হয়তো মিলবে না কোন দিনও তার
দেখা, ভয় শুধু এখন স্বপ্ন দেখতে।
কোন দিন হয়তো একাকীত্বের
পথে পেও যেতে পারে সেই
স্বপ্ন কন্যা কে হয়তো বা কখনোই
না।
“ স্বপ্নের স্বপ্নিল জগতে স্বপ্ন
হীন
রাত ঘুম কাটে স্বপ্ন বিহীন
বিবর্ণ হয়ে আশে স্বপ্ন সাদাকালো
ঘেরা
স্বপ্ন ভাঙ্গার ভয়ে তাই দিবা স্বপ্ন
দেখা। “
যদি হারায়ে যাই খুজে পাবে না
তোমাদের ওই চেনা পথে । যে
পথে সবাই হারিয়ে যায় হয়তো এমন
পথ বেছে নেবো যে পথে
কেও হাটে না । হেঁটে যাব হারিয়ে
যাবো খুজে পাবার চেষ্টায় ক্লান্ত
বিশ্রাম প্রয়োজন নাই, জেনে নিও তাই
যে হারায় সে পাওয়ার জন্য হারায় না ।
হারানর জন্যই হারায় ।

একজন লোক

Friday, June 12, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)

একজন বিত্তবান লোক সিদ্ধান্ত নিলেন, শিকারের উদ্দেশ্যে আফ্রিকায় কিছুদিনের জন্য ঘুরে আসবেন। তাই তিনি একমাত্র সহকারী হিসেবে তার বিশ্বস্থ কুকুরটিকে নিয়ে বের হয়ে পড়লেন। একদিন, কুকুরটি একটা প্রজাপতিকে খেলাচ্ছলে তাড়া করতে করতে হঠাৎ লক্ষ্য করল যে সে তার বাসস্থান থেকে অনেক দূরে চলে এসেছে এবং পথ হারিয়ে ফেলেছে।
তাই সে পথভ্রষ্ট হয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেরাচ্ছিল। এমতাবস্থায় হঠাৎ সে খেয়াল করল একটা চিতা মধ্যাহ্নভোজের উদ্দেশ্যে তার দিকে ক্ষিপ্রবেগে ছুটে আসছে। কুকুরটা নিজের মনে মনে ভাবল “মহা বিপদে পড়লাম দেখি!”
তারপর সে খেয়াল করল পাশেই মাটির উপর কিছু হাড় পরে আছে। তৎক্ষনাৎ সে হাড়গুলোর কাছে গেল এবং তার দিকে আসা চিতার দিকে পিছন ফিরে হাড়গুলো চিবোতে শুরু করল। ঠিক যখন চিতাটা লাফ দিয়ে তাকে ধরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ঠিক তখনি কুকুরটা জোড়ালো কন্ঠে বলা শুরু করল-
“চিতাটা তো খুব-ই মুখরুচক, মনে হয় এদিকে আশেপাশে খুজলে এরকম আরও পাওয়া যাবে।” বলার সাথে সাথে সে একটা জোরালো ঢেকুর ছাড়লো।
এই কথা শোনার চিতাটা তার আক্রমনে দ্রুত বিরতি দিল, দেখে মনে হচ্ছিল যে তাকে ভীতি চেপে ধরেছে এবং সে আস্তে আস্তে লুকিয়ে গাছের আড়ালে সটকে পড়ল। ভয়মাখা কন্ঠে চিতাটা মনে মনে বলে উঠল, “কুকুরটা খুব কাছাকাছি, এবং যে কোনো মূহুর্তে আমাকে পেয়ে যেতে পারে।”
ঠিক এ সময়, একটা বানর কাছাকাছি কোনো গাছে বসে পুরো ব্যাপারটা প্রত্যক্ষ করছিল। সে চিন্তা করল যে, “এই পুরো ব্যাপারটা চিতাকে বুঝিয়ে বলতে পারলে চিতার সাথে বানর গুষ্টির সম্পর্কটা আরও মজবুত হবে, এবং তাদের জাতিকে রক্ষার জন্য চিতার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন বেশ জরুরী।”
যেই চিন্তা সেই কাজ; এদিকে, কুকুরটা শুধু দেখল যে বানরটা খুব দ্রুতবেগে চিতার দিকে ছুটে যাচ্ছে এবং সাথে সাথে সে বুঝতে পারল নিশ্চয়ই কিছু হতে চলেছে। বানরটি খুব দ্রুতই চিতার কাছে পৌছে গেল এবং নিজের নিরাপত্তার আশায় সে পুরো ঘটনাটি চিতাকে খুলে বলল। নিজের এই বোকামি বুঝতে পেরে বাঘটি ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে বানরটিকে বলল-
“তবে তাই যদি ঠিক হয় তবে আমার পিঠে চড়ে বস, দেখ আমি কিভাবে বজ্জাত কুকুরটিকে কিভাবে শায়েস্তা করি।” তখন কুকুর দেখল চিতা তার পিঠে বানরকে নিয়ে কাছে আসছে। সে মনে মনে ভাবছিল “প্রাণপনে দৌঁড়ানো বাদে আমার এখন আর কি করার আছে?”
তবুও কুকুরটি আক্রমনকারীদের দিকে পেছন ফিরে বসে এমন ভাব ধরল যে সে তখনও তাদেরকে দেখতে পায় নি। যখন তারা কুকুরের কথা শোনার মত কাছাকাছি চলে এসেছে ঠিক তখনি কুকুর বিরক্তভরা কন্ঠে বলে উঠল “বজ্জাত বানরটা কই গেল!!! আমি ওকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারি না। আধ ঘন্টা হল ওকে আরেকটা চিতা (ভুলিয়ে-ভালিয়ে) আনতে পাঠালাম কিন্তু এখন পর্যন্ত সে ফিরে আসেনি।”এটা শোনার পর চিতা নিজের প্রাণের নিরাপত্তার কথা ভেবে ছুটে পালাল।

গল্পের নীতিকথাঃ কঠিন চাপের মুখে কখনও আতঙ্কিত হবেন না- টেনশন নেবার জন্য নয়, বরং একে কৌশলে ফিরিয়ে দেবার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

রেলগাড়িতে একজন

0 মন্তব্য(গুলি)

রেলগাড়িতে একজন অর্থনীতিবিদের সামনে বসে ছিল এক যুবক। যুবকের মুখে দুশ্চিন্তার ভাব ফুটে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে দু’জনের পরিচয় হল।
এক পর্যায়ে যুবকটি অর্থনীতিবিদকে বলল, ‘সাত বছর আগে আমি বিয়ে করেছি। আমার একটি ৫ বছরের মেয়ে আছে। আমার স্ত্রী আর আমি একই ক্লাশে পড়াশোনা করতাম। সে ভালো মানুষ। কর্মক্ষেত্রে আমিও যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছি। কিন্তু এক বছর আগে একটি সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে এবং আমি তাকে ভালবাসি।’
‘এ- পরিস্থিতিতে তুমি কী করবে বলে ঠিক করেছো?’ অর্থনীতিবিদ যুবককে জিঙ্গেস করলেন।
‘আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাই। কিন্তু এখনো এ- ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তাই ভয়ানক দুশ্চিন্তায় আছি।’
‘দুটোর মধ্যে একটি বাছাই করা সত্যিই সহজ কাজ নয়। এ- নিয়ে তোমার মনে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে তা খুবই স্বাভাবিক।’ এ- কথা বলে অর্থনীতিবিদ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন; তারপর বললেন, ‘কিন্তু অর্থনীতির তত্ত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করলে তোমার সমস্যার সমাধান করা যায়। ধরা যাক, তুমি তোমার বসের হয়ে একটি বড় কাজ করলে। এখন তিনি তোমাকে পুরষ্কৃত করতে চান। তিনি তোমাকে দুটো পুরষ্কারের একটি বেছে নিতে বললেন। পুরষ্কার দুটি হচ্ছে: তোমাকে নগদ দুই লাখ টাকা দেয়া হবে; অথবা তিন বছর পর তোমাকে তিন লাখ টাকা দেয়া হবে। তুমি কোনটি নেবে?’
‘অবশ্যই আমি নগদ পুরষ্কারই নেবো’, যুবক কোনোকিছু না ভেবেই উত্তর দিল।
‘কেন?’ অর্থনীতিবিদ জিজ্ঞেস করলেন।
‘কারণ, ভবিষ্যত অনিশ্চিত। কে জানে কয়েক বছর পর কী ঘটবে? তিন বছর পর আমার বস না-ও থাকতে পারেন। অথবা তিন বছর পর টাকার মূল্যমানও হ্রাস পেতে পারে।’ যুবক বিজ্ঞের মতো জবাব দিল।
অর্থনীতিবিদ হেসে বললেন, ‘তুমি ঠিকই বলেছ। ভবিষ্যতের টাকার চাইতে বতর্মান টাকার মূল্য অনেক বেশী। ঠিক তেমনি, ভবিষ্যতের সুখের চাইতে বতর্মান সুখের মূল্য বেশী। কেননা, ভবিষ্যত সবসময় অনিশ্চিত। কে জানে ভবিষ্যতে হয়তো সেই সুন্দরী মেয়ে আর তোমাকে ভালোবাসবে না; তোমাদের দু’জনের সুসম্পর্ক তখন না-ও থাকতে পারে। তোমার বর্তমান স্ত্রী সম্পর্কে তুমি জানো;
সে তোমাকে ভালোবাসে এবং সে ভালো মানুষ। তাই তোমার উচিত বর্তমানের ওপর ভরসা করা, বর্তমান সুখকে আঁকড়ে ধরা; ভবিষ্যতের সুখের আশায় বর্তমান সুখকে ত্যাগ না করা।’
অর্থনীতিবিদের কথা শুনে যুবকের মনের সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব একমুহূর্তে দূর হয়ে গেল। সে বলল, ‘আমি পরের ষ্টেশনে নামবো। আমি আমার মেয়েবন্ধুর কাছে যাবো না, যাবো আমার স্ত্রীর কাছে। গোটা বিষয়টি এখন আমার কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমাকে ভালো পরামর্শ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।’

একটা সঠিক সমাধান

Tuesday, June 9, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)

আমি ভাবি আর ভাবি মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর। নিরানববই বারই আমার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। ঠিক একশ বারে পৌঁছে, আমি একটা সঠিক সমাধান বা সিদ্ধান্তে উপনীত হই।
- অ্যালবার্ট আইনস্টাইন 

এরই নাম প্রেম।

0 মন্তব্য(গুলি)

এরই নাম প্রেম।
জেনে শোনে অনলে
জ্বলে পুড়ে ছাই
হওয়ার মাঝে যদি
কোনো সুখ থাকে,
তবে এর নাম ভালোবাসা,
এরই নাম প্রেম।
গরল পান করিয়া
বিষম জ্বালা সইতে
পারার মাঝে যদি
কোনো সুখ থাকে,
তবে এর নাম ভালোবাসা,
এরই নাম প্রেম।
খালি পায়ে উত্তপ্ত
মরুর বুকের বালিকায়
হাঁটায় মাঝে যদি
কোনো সুখ থাকে,
তবে এর নাম ভালোবাসা,
এরই নাম প্রেম।
দহন-বেলাতে খোলা
আকাশ তলে দগ্ধ
হওয়ার মাঝে যদি
কোনো সুখ থাকে,
তবে এর নাম ভালোবাসা,
এরই নাম প্রেম।
চাতকির মতো পিপাসায়
কাতর হইয়া ছটপট
করার মাঝে যদি
কোনো সুখ থাকে,
তবে এর নাম ভালোবাসা,
এরই নাম প্রেম।
রাতজাগা পাখির মতো
রাত জাগিয়া কারো
কথা ভাবার মাঝে
কোনো সুখ থাকে,
তবে এর নাম ভালোবাসা,
এরই নাম প্রেম।
নিশি-দিন কারো জন্য
উদাসীন উন্মাদ হইয়া
থাকার মাঝে যদি
কোনো সুখ থাকে,
তবে এর নাম ভালোবাসা,
এরই নাম প্রেম।
ব্যাকুল অন্তরে কারো
আসার পন্থ পানে
চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনার
মাঝে যদি
কোনো সুখ থাকে,
তবে এর নাম ভালোবাসা,
এরই নাম প্রেম।

আজ হারিয়েছি,

Monday, June 8, 2015

0 মন্তব্য(গুলি)



আজ হারিয়েছি, কাল
খুঁজবো,, আজ
পাইনি, কাল পাবো,, আজ
হেরেছি, কাল
জিতবো। আমি আবার
ফিরে
আসবো,.


শ্রাবনে ঝর ঝর বর্ষা নামে, মাঠ ঘাট ভেসে জায় জলে,

0 মন্তব্য(গুলি)

শ্রাবনে ঝর ঝর বর্ষা নামে,
মাঠ ঘাট ভেসে জায় জলে,
ঝিলের শাপলারা সব হেসে ওঠে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
গ্রীষ্মের খরাতপ্ত উদাস দুপুরে,
একাকী পান্থ হেঁটে যায় দূরে,
বিস্তীর্ন দিগন্তে পাখিরা যায়
উড়ে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
একদিন সন ধ্বংস হবে লয়ে,
অশান্ত বিশ্ব আসবে শান্ত হয়ে,
সমূদ্র নাচবে ঢেউ এর প্রলয়ে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
ফসলের মাঠে বাতাস বয়ে চলে,
গাছগুলো সব একাধারে হেলে
পড়ে,
অবসন্ন কৃষক মাঠে থাকে বসে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
শীতের ঢেকে যাওয়া কুয়াশার
চাদরে,
ঠান্ডা হিমেল বাতাসের পরশে,
প্রকৃতি মেতে ওঠে উৎসব পার্বণে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
প্রকৃতিতে যখন মোহনীয় বসন্ত
আসে,
চারিদিক শোভিত হয় ফুলের
সৌরভে,
মৌমাছিরা ফুলে মধু খুঁজে ফেরে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
পূর্ব দিগন্তে যখন সূর্য্য ওঠে
হেসে,
গাছে গাছে পাখিরা মাতে
কূজনে,
প্রকৃতি সজ্জিত হয় অপূর্ব সাজে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
হৃদয় যখন হয়ে ওঠে অশান্ত,
তোমার স্মৃতি মনকে করে শান্ত,
রাত্রি যখন আসে চুপিসারে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
রঙের পসরা নিয়ে রংধনু ওঠে,
হৃদয় মাতে যখন আপন খেয়ালে,
ভরে যায় সব বর্ণিল ছবিতে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!
মন উদাস হয় বাঁশির করুণ সুরে,
বারবার মনে হয় নও তুমি দূরে,
যখন এলে তুমি এই মনের গভীরে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

মেঘ' নামে কবিতা লিখেছি এইত কিছুদিন আগে,

0 মন্তব্য(গুলি)

মেঘ' নামে কবিতা লিখেছি
এইত কিছুদিন আগে,
মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে
বেশ ভালই তো লাগে।
ক্লাসের মাঝে কবিতাটা আমি
দিলাম বন্ধুর হাতে,
কেউ আবার জানতে চাইল,
‘কি লিখেছিস ওতে?’
লেখাটুকু পড়া হলে পরে
বন্ধু আমাকে শুধায়,
‘লেখার মধ্যে কেমন যেন
দুখী লাগলো তোমায়?’
আমি বলি, ‘হঠাৎ কেন
এরূপ মনে হল তোমার?
সত্যি বলছি এখন আর
কোন দুঃখ নেই আমার’।
অতীতে আমি করেছিলাম
ভীষণ একটা ভুল,
চড়া মুল্যে আজো দিচ্ছি
সেই ভুলের মাশুল।
কি হয়েছিল যদিও তোমারা
সকলেই তা জানো,
এরপরও দু’একটা কথা
বলছি তবে শোনো।
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে
করে ফেলেছিলাম পাপ,
বিবেককে আজ দংশন করে
সেই মহা অভিশাপ।
শুধুই বন্ধু হতে চেয়েছিলাম
স্বার্থ ছিলনা কোন,
সে তো ভেবেছিল, আমি এক
প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম যেন!
মিথ্যার আড়ালে বাস করে সে
নিদারুণ স্বার্থপর,
স্বার্থের মোহে আজ সে
আপনকেই করেছে পর।
একদিন যাকে না দেখলে
কিছুই লাগতোনা ভাল,
আজ আমার তাকে দেখলেই
মুখ হয়ে যায় কালো।
বন্ধুত্বের মধুর সম্পর্ক সে
করেছে কলঙ্কিত,
বিষাক্ত ছোবলে সে করেছে
বন্ধুত্ব প্রশমিত।
ছদ্মবেশের আড়ালে সে
খুঁজে নিয়েছে স্বজন,
আমাদের মাঝে তৈরি করেছে
দূরত্ব হাজার যোজন।
কত দক্ষতায় করেছে সে
হিসাব লাভ আর ক্ষতি,
সে কি ভেবেছে তাকে ছাড়া
নাই আমাদের গতি?
সে ভেবেছে করে ফেলেছে
দারুণ বাজিমাত,
নিজের কাজে একদিন সে
হবেই কুপোকাত।
বহুদিন থেকে সে আমাকে
দিয়ে এসেছে ধোঁকা,
তখন বুঝিনি, আজ বুঝেছি
আমিএ ছিলাম বোকা।
তোরা ভেবেছিস হয়ত আমি
কিছুটা বদলে গিয়েছি,
আগেও যেমন ছিলাম আমি
এখনও তেমনি আছি!
জীবনে যখন ঘনিয়ে এল
দুঃখের কালো রাত,
তোরাই তখন বাড়িয়ে দিলি
বন্ধুত্বের সেই হাত।
বর্তমানকে সাথে করে
অতীত গিয়েছি ভুলে,
মনে করতে চাই না কিছু,
এত ভাবলে কি আর চলে?
উলটা-পালটা প্যাঁচাল পেড়ে
নষ্ট করলাম সময়,
লেখাটা পড়া হলে পরে
মারবি না তো আমায়?
আমাকে তোরা বন্ধু করে
তোদের কাছেই রাখিস,
তোরাই আমার বন্ধু ছিলি
তোরাই বন্ধু থাকিস।

রাত্রি যখন নিঝুম হয় নিস্তব্ধ হয় পৃথিবী, ঘুমিয়ে পড়েছে সকল কিছু

0 মন্তব্য(গুলি)

রাত্রি যখন নিঝুম হয়
নিস্তব্ধ হয় পৃথিবী,
ঘুমিয়ে পড়েছে সকল কিছু
নিশ্চুপ রয়েছে সবই।
মাঝে মাঝে নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে,
বাঁকা চাঁক উঁকি মারে
মেঘের ভেলার ফাঁকে।
বনের মধ্যে চলছে যখন
আলো আঁধারির খেলা,
আকাশজুড়ে বসেছে তখন
সহস্র তারার মেলা।
রূপালী জোছনা প্লাবিত করেছে
সুপ্ত এই প্রকৃতিকে,
তারার আলো সাজিয়ে দিয়েছে
রাতের নিস্তব্ধতাকে।
এরই সাথে যুক্ত হয়েছে
ক্ষুদ্র জোনাকীর আলো,
কে বলবে আঁধারের রূপ
লাগে বড় কালো?
নিশাচর পশুরা বেরিয়ে পড়েছে
খাবারের সন্ধানে,
নদীর পানি ফুলে উঠেছে
জোয়ারের প্লাবনে।
বাতাস যখন বয়ে চলে
বনের ভিতর দিয়ে,
বনের বৃক্ষ শামিল হয়
মর্মর ধ্বনি দিয়ে।
এরই মাঝে একাকী আমি
উদ্দেশ্যহীন হেঁটে যাই,
নির্জনতার মাঝেই আমি
নিজেকেই খুঁজে পাই।

ছড়া কিংবা কবিতা, কখনো পড়তে ভাল লাগে রূপকথার

0 মন্তব্য(গুলি)

ছড়া কিংবা কবিতা,
কখনো পড়তে ভাল লাগে
রূপকথার গল্প কথিকা।
উদাস দুপুরে শুনি কভু
প্রিয় শিল্পীর গান,
মনের অজানে দিয়ে উঠি
দুই একটি টান।
ছাদে উঠে মাঝে মাঝে
রাতের বেলায় হাঁটি,
চুপিসারে নিজের সাথে
নিজেই কথা বলি!
একাকী কথা বলি দেখে
লোকে পাগল ভাবে,
যার জা ইচ্ছা ভাবুক,
আমার কি যায় আসে!
মাঝে মাঝে ঘোর বৃষ্টিতে
ভিজতে ভাল লাগে,
জ্যোৎস্না রাতে চাঁদ দেখতে
ভীষণ লাগে ভাল।
ছুটির দিনে সকাল বেলা
দেরী করেই উঠি,
সবার সুখে সুখী হই,
সবার দুখে দুখী।
বিপদে আপদে আমি কভু
হারাইনা মনোবল,
কষ্ট ব্যথা হোক না কেন
যতই কঠিন প্রবল।
একে একে অনেকেই তো
ছেড়ে গিয়েছে দূরে,
ওদের কথা সর্বদাই যে
খুব মনে পড়ে।

নীলাঞ্জনা , কেমন আছো, কোথায় আছো জানিনা। সুখে থেকো এইটুকু মোর কামনা, নীলাঞ্জনা ।

0 মন্তব্য(গুলি)

নীলাঞ্জনা , কেমন আছো,
কোথায় আছো জানিনা।
সুখে থেকো এইটুকু মোর কামনা,
নীলাঞ্জনা ।
কথার মালা দিয়ে গেথেছিলাম,
ভালোবাসার গান
সূরের প্রতিমা গড়েছিলাম, দিয়ে
মনপ্রাণ।।
ভেঙ্গে গেছে কত আশা,
ভেঙ্গেছে সুর-সাধনা ।
ফেলেছো কি তুমি কখনো,
দু’ফোঁটা চোখের জল
ঘুমহীন মোর দুটি চোখে, জলে
ছলছল।।
প্রেম চিঠি লিখবো না আর, আর
কখনো কাঁদবো না, নীলাঞ্জনা ।
কেমন আছো, কোথায় আছো
জানিনা ।নীলাঞ্জনা, কেমন
আছো, কোথায় আছো জানিনা।।
সুখে থেকো, এইটুকু মোর কামনা,
নীলাঞ্জনা ।
# অতঃপর-নিলয় ।

ছড়া কিংবা কবিতা, কখনো পড়তে ভাল লাগে রূপকথার গল্প কথিকা। উদাস দুপুরে শুনি কভু প্রিয় শিল্পীর গান,

0 মন্তব্য(গুলি)

ছড়া কিংবা কবিতা,
কখনো পড়তে ভাল লাগে
রূপকথার গল্প কথিকা।
উদাস দুপুরে শুনি কভু
প্রিয় শিল্পীর গান,
মনের অজানে দিয়ে উঠি
দুই একটি টান।
ছাদে উঠে মাঝে মাঝে
রাতের বেলায় হাঁটি,
চুপিসারে নিজের সাথে
নিজেই কথা বলি!
একাকী কথা বলি দেখে
লোকে পাগল ভাবে,
যার জা ইচ্ছা ভাবুক,
আমার কি যায় আসে!
মাঝে মাঝে ঘোর বৃষ্টিতে
ভিজতে ভাল লাগে,
জ্যোৎস্না রাতে চাঁদ দেখতে
ভীষণ লাগে ভাল।
ছুটির দিনে সকাল বেলা
দেরী করেই উঠি,
সবার সুখে সুখী হই,
সবার দুখে দুখী।
বিপদে আপদে আমি কভু
হারাইনা মনোবল,
কষ্ট ব্যথা হোক না কেন
যতই কঠিন প্রবল।
একে একে অনেকেই তো
ছেড়ে গিয়েছে দূরে,
ওদের কথা সর্বদাই যে
খুব মনে পড়ে।

তোমরা কি শুনবে কেউ আমার কিছু কথা? আমার ভাল-মন্দ লাগা কিংবা দুঃখ ব্যথা?

0 মন্তব্য(গুলি)

তোমরা কি শুনবে কেউ
আমার কিছু কথা?
আমার ভাল-মন্দ লাগা
কিংবা দুঃখ ব্যথা?
মাঝে মাঝে নিজেকে
লাগে বড় একা,
মনের মত বন্ধুর দেখা
পাবো আমি কোথা?
চুপচাপ বসে থাকি
কিছুই লাগে না ভাল,
অবচেতন মন বলে ওঠে,
কিছু একটা কর।
কিন্তু কি করবো আমি
পাই না কোন কাজ,
কখন যে পার হয়
সকাল-দুপুর-সাঁঝ!
একা একা কোন কিছুতেই
সময় আর না কাটে,
ইশ একটা কাজ এখন যদি
থাকতো আমার হাতে!
ভাল কিছু যখন আর
করার না থাকে,
উদ্ভট কিছু চিন্তা ভাবনা
মাথায় চলে আসে।
সেইসব চিন্তা ভাবনার
আগা মাথা নাই,
চিন্তার সাগরে কখনো ডুবে
হাবুডুবু খাই!
মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে
বই নিয়ে বসি,
কি আর পড়বো? এখন তো
লাগছে সবই বাসি।
কখনো কখনো মনে হয়
কিছু একটা লেখি,
কখনো বা জানালা দিয়ে
দূরে তাকায়ে দেখি।
চোখের দৃষ্টি মাঝে মাঝে
সুদূরে হারিয়ে যায়,
মনের গভীর কল্পনা ছেড়ে
অনন্ত নীলিমায়।
কখনো আমি বন্ধুর কাছে
লিখতে বসি চিঠি,
উত্তরের প্রতিক্ষায় থাকে
আমার নয়ন দিঠি।
চোখের সামনে ভাসে যে
কত রঙ্গীন স্বপ্ন,
মনের মাঝে জাগে কত
হাজারো জটিল প্রশ্ন।
মাঝে মধ্যে লিখে ফেলি
ছড়া কিংবা কবিতা,
কখনো পড়তে ভাল লাগে
রূপকথার গল্প কথিকা।

তুমায় ভালো বেসেছি।

0 মন্তব্য(গুলি)
তুমায় ভালো বেসেছি।
তুমায় ভালো বেসে যেতে
চায় স্বপ্ন বালিকা।।।

কে তুমি স্বপ্ন 

0 মন্তব্য(গুলি)
কে তুমি স্বপ্ন  বালিকা
বার বার কেন
দাও
স্বপ্নে দেখা??

ভাবছি,ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো

0 মন্তব্য(গুলি)

ভাবছি,ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো
এতো কালো মেখেছি দু হাতে
এত কাল ধরে।
কখনো তোমার করে,তোমাকে ভাবিনি,
এখন খাদের পাশে রাত্তদিকেই আমি চলে যেতে পারি
কিন্তু,কেন যাবো?
সন্তানের মুখ ধরে একটি চুমো খাবো
যাবো
কিন্তু,এখনি যাবো না
তোমাকেও সঙ্গে নিয়ে যাবো
একাকী যাবো না অসময়ে।।

শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, ঐ আনন্দে কেটে যাবে সহস্র

0 মন্তব্য(গুলি)

শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
ঐ আনন্দে কেটে যাবে সহস্র
জীবন।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
অহংকারে মুছে যাবে সকল দীনতা।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
স্পর্শসুখে লিখা হবে অজস্র কবিতা।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
শুধু একবার পেতে চাই অমৃত আস্বাদ।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
অমরত্ব বন্দী হবে হাতের মুঠোয়।
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
তারপর হব ইতিহাস।
____নির্মলেন্দু গুণ